সংক্ষিপ্ত
মা জয়া বচ্চন রাজনীতির ময়দানে পোড়খাওয়া। ২০০৪ সালে সমাজবাদী পার্টির টিকিটে প্রথমবার নির্বাচিত হয়েছিলেন রাজ্যসভায়।
'বাপ কা বেটা!' এক অতি পরিচত প্রবাদ। কিন্তু, বাবা নয়, বাস্তবে কি মায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চলেছেন জুনিয়র বচ্চন? জল্পনা, শীঘ্রই রাজনীতিতে নামতে চলেছেন অভিষেক বচ্চন। লিটমাস টেস্ট হতে পারে ২৪'এর হাইভোল্টেজ লোকসভা নির্বাচনে। তবে, এ সমস্তই আপাতত জল্পনা। অভিষেক বচ্চন নিজে অথবা বচ্চন পরিবারের কেউই এ বিষয়ে কেউই কোনও সীলমোহর দেননি।
মা জয়া বচ্চন রাজনীতির ময়দানে পোড়খাওয়া। ২০০৪ সালে সমাজবাদী পার্টির টিকিটে প্রথমবার নির্বাচিত হয়েছিলেন রাজ্যসভায়। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি একদা বাংলা-হিন্দি সিনেমার পর্দা কাঁপানো এই তারকাকে। বর্তমানেও সমাজবাদী পার্টির টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ তিনি। তবে কি মায়ের পথ ধরে অখিলেশ যাদবের পার্টির হয়েই রাজনীতিতে পা রাখবেন অভিষেক? তৈরি হয়েছে জল্পনা।
যাঁকে নিয়ে এত আলোচনা, তিনি নিজে অবশ্য 'স্পিকটি নট।' কোনও জল্পনা নিয়েই মুখ খোলেননি তিনি। পুরনো এক সাক্ষাৎকারে অবশ্য জুনিয়র বচ্চন জানিয়েছিলেন রাজনীতিতে তাঁর বিশেষ আগ্রহ নেই। বরং পর্দায় রাজনীতিবিদের চরিত্রে নিজেকে গড়ে তুলতেই তাঁর আগ্রহ বেশি। এখন দেখার সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চিন্তাভাবনায় বদল এনেছেন কিনা জুনিয়র বচ্চন।
পরিচালক জেপি দত্তের হাত ধরে ২০০০ সাকে বলিউডে পা রাখেন অভিষেক বচ্চন। রিফিউজি সিনেমায় তাঁর বিপরীতে ছিলেন করিশ্মা কাপুর। সে ছবি বক্স অফিসে তেমন দাগ কাটতে পারেনি। যদিও কেরিয়ার থমকে যায়নি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুকুটে যোগ হয়েছে 'কভি আলবিদা না কহেনা,' 'বান্টি ঔর বাবলির' মত হিট ছবি। ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'ধুম' ফ্রাঞ্চাইজির প্রথম ছবি অভিষেক বচ্চনকে অনন্যতা দেয়। জন আব্রাহামের বিপরীতে স্মার্ট, ঝকঝকে, বুদ্ধিদীপ্ত পুলিশের চরিত্রে অডিয়েন্সের মনে দাগ কাটতে ব্যর্থ হননি অভিষেক। এরপর 'ধুম ২'- হৃতিক রোশন এবং 'ধুম ৩'- আমির খানের বিপরীতেও সেই একই মেজাজে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ধুম ফ্রাঞ্চাইজির খলনায়ক-কেন্দ্রিকতার পরেও জন আব্রাহাম, হৃতিক রোশন এবং আমির খানের পাশাপাশি দর্শকদের কাছে আলাদা এক পরিচিতি তৈরি করে নিয়েছিলেন জুনিয়র বচ্চন।
তেইশ বছরের বলিউড জীবন অবশ্য কখনওই সুব সহজ হয়নি অভিষেকের জন্য। রেড কার্পেট অথবা গোলাপের পাপড়ির পাশাপাশি কাঁটার মতো বিঁধে ছিল তাঁর বাবা অমিতাভ বচ্চনের নাম। প্রতিটি পারফরম্যান্সের পরে, ভারতীয় জনগণের দাঁড়িপাল্লায় তাঁর তুল্যমূল্য বিচার হয়েছে। যে দাঁড়িপাল্লার একদিকে তিনি, অন্যদিকে তাঁর বাবা অমিতাভ বচ্চন। রাজনীতিও কি তাঁকে একইরকম দাঁড়িপাল্লায় ফেলে বিচার করবে? যেখানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবেন গর্ভধারিণী জয়া বচ্চন? সময় উত্তর দেবে।