সংক্ষিপ্ত

  • ক্রমশই জটিল হচ্ছে পদুচেরির রাজনৈতির পরিস্থিতি 
  • মঙ্গলবার সরানো হয়েছে কিরণ বেদীকে 
  • ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি 
  • রাহুল গান্ধীর রাজনৈতিক সফর পদুচেরিতে

 

ক্রমশই জটিল হচ্ছে পদুচেরীর রাজনৈতিক পরিস্থিতি। রীতিমত টলমল অবস্থায় রয়েছে সেখানকার কংগ্রেস সরকার। সেই অবস্থাতেই মঙ্গলবার  ভোটের মুখে লেফটেনন্ট গভর্নরের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কিরণ বেদীকে। তাঁর জায়গায় অতিরিক্তি দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন তেলাঙ্গনার রাজ্যপাল ডক্তর তামিলিসাই সৌন্দররাজন। মঙ্গলবার রাতেই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দফতর থেকে এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে বুধবার সকালেই পদুচেরিতে পৌঁছেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। 

অপসারণের পর কিরণ বেদী জানিয়েছেন,পদুচেরির লেফটেনন্ট গভর্নর হিসেবে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আজীবন তিনি ভারত সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবেন।  আর ভারত সরকারকেও তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। দীর্ঘ চার বছর কর্মক্ষেত্রে যারা যারা তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেনয়। তিনি আরও বলেছেন টিম রাজনিবাস চার বছর ধরে পদুচেরির মানুষের স্বার্থ আন্তরিকভাবেই কাজ করেছিল। কিরণ বেদীর ঘনিষ্টমহলে জানিয়েছে গতকালও রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে নির্দেশিকা জারি হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি টিকাকরণের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মীদের টিকাকরণে কর্মসূচিও পরিচালনা করছেন। আচমকাই রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। 

অন্যদিকে বুধবারও পদুচেরির অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেই সেখানে পৌঁছেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী ও কংগ্রেসের রাজ্যস্তরের শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিন থেকেই পদুচেরিতে ভোট প্রচারের কাজ শুরু করেন রাহুল গান্ধী। চলতি বছর এপ্রিল মাসেই পদুচেরিতে বিধানসভা নির্বচন অনুষ্ঠিত হবে। রাহুল গান্ধীর সফরের ওপরেই জোর দিতে চাইছে স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। 

'টাকা নিয়ে আন্দোলনে সমর্থন', ভারতে মুখোশ খুলে গেছে গ্রেটার, টুলকিট কেসে বললেন মার্কিন লেখক .

কেমন আছে ভূস্বর্গ, খতিয়ে দেখতে ও জানতে জম্মু ও কাশ্মীরে ২ দিনের সফরে বিদেশী কূটনীতিকরা ...

 ভোটের আগেই রীতিমত ধাক্কার মুখে কংগ্রেস। মঙ্গলবারই কংগ্রেস বিধায়ক এ জন কুমার পদত্যাগ করেন। এই নিয়ে কংগ্রেসের মোট চার জন বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন। ৩৩ আসনের পদুচেরি বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে কংগ্রেস। বর্তমানে কংগ্রেস -ডিএমকে ও এআইডিএমকে-বিজেপি দুই জোটেরই সক্রিয় বিধায়কের সংখ্যা ২৮। যদিও কংগ্রেসের দাবি তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়নি। 
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে পদুচেরির লেফটেন্যান্টের পদ থেকে আচমকা কিরণ বেদীর অপসারণকে কংগ্রেস নির্বাচনী ইস্যুতে করতে পারে। কারণ কংগ্রেস দীর্ঘ দিন ধরেই কিরণ বেদীর বিরুদ্ধে সরব ছিল। একাধিকবার প্রসাসনিক ও উন্নয়নমূলক কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগও তুলেছিল কিরণ বেদীর বিরুদ্ধে। ভোটের মুখে তাঁর অপসারণে প্রাথমিক জয় দেখছে কংগ্রেস।