Ahmedabad plane clash: আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার চার দিন পর উদ্ধার হল দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স, যাতে ককপিটের কথোপকথন রেকর্ড করা আছে। তদন্তকারীরা প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিবের সাথে বৈঠক করেছেন এবং তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা।

Ahmedabad plane clash: আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার চার দিন পর অবশেষে পাওয়া গেল দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হল এটি। এই ব্ল্যাক বক্সেই রেকর্ড করা আছে বিমানের ককপিটের কথাবার্তা। এর থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আসতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। দুর্ঘটনার তদন্ত করছে এয়ারক্র্যাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি) এবং এয়ারক্র্যাফ্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এএআই)। তারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিবের সঙ্গে তাদের একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেই বৈঠকে। কেন্দ্রীয় সরকারের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক আমেদাবাদ দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে। তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ১০ মিনিটে ঘটে দুর্ঘটনা। লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল বিমানটি। আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে টেক অফ করার পরই ভেঙে পড়ে আমেদাবাদ- লন্ডনগামী AI 171 বিমানটি ভেঙে পড়েছে। ওড়ার পর মুহূর্তে অন্তত ২৪২ জন যাত্রীকে নিয়ে ভেঙে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার। যাদের মধ্যে শুধুমাত্র একজন বেঁচে আছেন। বাকি সকলেই প্রয়াত। এই বিমানে যাত্রী এবং বিমানকর্মী মিলিয়ে ১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিক ছিলেন। এছাড়াও ৫৩ জন ব্রিটিশ, এক জন কানাডিয়ান, সাত জন পর্তুগিজ নাগরিক ছিলেন। ছিলেন ১০ জন ক্রু সদস্য। 

এই বিমানে গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। যিনিও প্রয়াত হন এই দুর্ঘটনায়। বর্তমানে মৃতের সংখ্যা প্রায় ২৭৪। তা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান। চলছে তদন্ত। বিমানটিতে ক্যাপ্টেন সুমিত সভরওয়ালের কমান্ডে ছিল, সহ পাইলট ছিলেন ক্লাইভ কুন্দার। ক্যাপ্টেন সুমিত সভরওয়াল একজন এলটিসি, যার ৮২০০ ঘন্টার অভিজ্ঞতা ছিল। সহ পাইলট ক্লাইভ কুন্দেরের ১১০০ ঘন্টার অভিজ্ঞতা ছিল।

বিমান দুর্ঘটানর পিছনে থাকতে পারে নানান কারণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইঞ্জিন বিকল হওয়ার কারণে হতে পারে এমনটা। পাখির আঘাত, জ্বালানির চাপ কিংবা উৎপাদনজনিত ত্রুটির কারণে হতে পারে। তেমনই পাইলটের ভুলে হলে পারে এই দুর্ঘটনা। গতি ভুলভাবে নির্ণয় করা, ঘূর্ণনের সঠিক সময় নির্ধারণে না করা কিংবা ভুল পিচ অ্যাঙ্গেলের কারণে হতে পারে এমনটা।

এছাড়া আছে প্রযুক্তিগত সিস্টেম ব্যর্থতার সম্ভাবনা। ল্যান্ডিং গিয়ার, হাইড্রোলিক্স, অটোথ্রটল বা এয়ারস্পিড ইন্ডিকেটরের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেমে ত্রুটি থাকলে হতে পারে এমনটা

সঙ্গে খারাপ আবহাওয়া, ঝড় ও বজ্রপাত বিমানকে টেকঅফের সময় জটিলতা তৈরি করতে পারে। তেমনই, রানওয়েতে হঠাৎ কোনও যানবাহন, পাখি বা অন্য কোনও বিমানের অনুপ্রবেশ করলে দুর্ঘটনা হতে পারে।