সংক্ষিপ্ত

এনইইটি স্নাতকোত্তর পরীক্ষার পর যত দ্রুত সম্ভব কাউন্সেলিং করানো হবে,মঙ্গলবার এমনই আশ্বাস দেয় কেন্দ্র। ফলে ২৯শে ডিসেম্বর অর্থাৎ বুধবার যে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আবাসিক চিকিৎসকদের সংগঠন, তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। 

অবশেষে স্বস্তি। মুখ বাঁচল কেন্দ্রের (Modi Govt)। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে নিট-পিজি কাউন্সেলিং (NEET PG 2021 counselling) হচ্ছে না, কলেজ বরাদ্দ করা আটকে আছে। এই অভিযোগে রাজধানীর চিকিৎসা পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি (Delhi Doctors Protest) দেন দিল্লির কয়েকশ আবাসিক ডাক্তার (resident doctors)। তড়িঘড়ি হস্তক্ষেপ করে কেন্দ্র। এনইইটি স্নাতকোত্তর (NEET-PG) পরীক্ষার পর যত দ্রুত সম্ভব কাউন্সেলিং করানো হবে,মঙ্গলবার এমনই আশ্বাস দেয় কেন্দ্র। ফলে ২৯শে ডিসেম্বর অর্থাৎ বুধবার যে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আবাসিক চিকিৎসকদের সংগঠন, তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। 

এক প্রেস বিবৃতি জারি করে এইমস দিল্লি আরডিএ জানিয়ে দেয় বুধবার ধর্মঘটে নামার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। কারণ কেন্দ্র তাদের দাবি মেনে কাউন্সেলিংয়ের আশ্বাস দিয়েছে। এদিকে, মেডিকেলে ভর্তিতে সংরক্ষণ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court of India)। সেই মামলা ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে দ্রুত নিষ্পত্তি করে অবিলম্বে এই কাউন্সেলিং ও কলেজ বরাদ্দ করার দাবিতে গত এক মাস ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন বা ফোরডা (FORDA)।

ফোরডার সভাপতি মণীশ নিগম জানান, সব আবাসিক চিকিৎসকই আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়ে সম্মত হয়েছেন। বুধবার থেকে সব রকম চিকিৎসা পরিষেবা মিলবে। কোথাও ত্রুটি হবে না। এর আগে মণীশ জানান, বিপুল সংখ্যক আবাসিক চিকিৎসক এদিন প্রতীকী প্রতিবাদ হিসাবে তাদের অ্যাপ্রন বা ল্যাব কোট ফিরিয়ে দিয়েছেন। এরপর মৌলানা আজাদ মেডিকেল কলেজ (MAMC) ক্যাম্পাস থেকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত মিছিল করতে যেতেই দিল্লি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান ডাক্তাররা। 

এই সংঘর্ষের বেশ কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেগুলির কোনওটিতে ডাক্তারদের চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে পুলিশ কর্মীদের। কোথাও গালিগালাজ করতে দেখা গিয়েছে। আবার কোথাও দুদিক দুই পুরুষ পুলিশকর্মী চেপে ধরে মহিলা ডাক্তারকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন, এমন ছবিও ধরা পড়েছে। 

বেশ কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার তাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ আন্দোলনে পুলিশের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগের অভিযোগ করেছেন। মহিলা ডাক্তারদেরও গায়ে হাত দিয়েছেন পুরুষ পুলিশ কর্মীরা, এমন অভিযোগও করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন আবাসিক চিকিৎসক পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়ছেন বলে জানা গিয়েছে। 

এদিকে, জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, নিট-পিজি কাউন্সেলিংয়ে দেরি হওয়ায় একটা পুরো ডাক্তারদের দল মেডিক্যাল কলেজে ঢুকতে পারছে না। ফলে, মাত্র ৬৬ শতাংশ ক্ষমতা নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। আবাসিক ডাক্তারদের সংগঠন সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, তাদের দাবিগুলি শীঘ্র পূরণ না করা হলে, তারা পরিষেবা থেকে গণ ইস্তফা দেবেন। তারা জানিয়েছেন, কাউন্সেলিং-এ দেরি হওয়ায় তিনটি বড় সরকারি হাসপাতাল-সহ বহু হাসপাতালের রোগীর চিকিৎসা প্রভাবিত হচ্ছে।