সংক্ষিপ্ত
নিউটাউন এলাকায় গাড়ির বেপরোয়া গতির জেরেই প্রাণ হারালো আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া শাকিল আহমেদ। সূত্রের খবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোলের ছাত্র শাকিল সেদিন ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পথেই বেপরোয়া গতিতে আসা একটি গাড়ি ধাক্কা মারে তাকে।
নিউটাউন এলাকায় গাড়ির বেপরোয়া গতির জেরেই প্রাণ হারালো আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া শাকিল আহমেদ। সূত্রের খবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোলের ছাত্র শাকিল সেদিন ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে রওনা দেয় বাড়ির উদ্দেশ্যে। বাড়ি ফেরার পথেই বেপরোয়া গতিতে আসা একটি গাড়ি ধাক্কা মারে তাকে। মূল রাস্তা থেকেই ছিটকে পড়ে শাকিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের তৎপরতায় তাকে তড়িঘড়ি তুলে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার পথেই প্রাণ হারায় সে। চিকিৎসকরা শাকিলকে মৃত বলে ঘোষণা করার পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। গাড়ির এমন বেপরোয়া গতির জেরে একটি সতেজ প্রাণ চলে যাওয়ার জন্য প্রসাশনকে দায়ী করে, বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে পড়ুয়ারা। এমনকি রাস্তা অবরোধও করতে শুরু করে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা।
তাদের দাবি ঘাতক গাড়ির চালককে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে পুলিশকে। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য ওই ঘাতক গাড়ির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই 'হিট অ্যান্ড রান' এর আওতায় মামলা রুজু হয়েছে টেকসো সিটি থানায়। গাড়ির খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। এমনকি ওই গাড়ি সনাক্ত করতে পুলিশ কর্তৃক করা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ চেক।
মুর্শিদাবাদের শাকিল ভূগোল নিয়ে পড়াশুনো করতে একসময় এসেছিলো কলকাতায়। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই তিনি সেদিন ক্যাম্পাস থেকে ইকস্পেসের দিকে যাচ্ছিল সে। কিন্তু বেপরোয়া গতি কেড়ে নিলো তার জীবন। নিউটাউন চত্বরে রাতের দিকে নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে প্রায়ই চলে বাইকের রেস।গাড়িও চলে বেপরোয়া গতিতে। প্রশাসন এসম্পর্কে অবগত হলেও সেই অর্থে কোনো যথার্থ ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি তাদের এখনও। তবে কি মানুষের জীবনের কোনো মূল্যই নেই প্রশাসনের কাছে ? প্রশ্ন তুলছে একাংশ।