সংক্ষিপ্ত
- আজ ১২ ঘণ্টার বনধ অসমে
- এনআরসি তালিকায় নেই বহু মানুষের নাম
- সেই প্রতিবাদেই আজ অসমে পালিত হচ্ছে বনধ
- বনধের ডাক দিয়েছে অল অসম কোচ রাজবংশী সম্মিলনী
অল অসম কোচ রাজবংশী সম্মিলনী অর্থাৎ এএকেপিএস-এর তরফে বৃহস্পতিবার অসমে ১২ ঘণ্টার বন্ধের ডাক দিয়েছে। জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর চৃড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয়েছে গত ৩১ অগাস্ট, আর সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন অসমের অসংখ্য মানুষ। আর এই ঘটনার প্রতিবাদেই সেখানে ১২ ঘণ্টার বন্ধের ডাক দিয়েছেন কোচ রাজবংশী সম্প্রদায়ের যৌথ সংগঠন অল অসম কোচ রাজবংশী সম্মিলনী।
এএকেপিএস-এর সভাপতি বিরেশ্বর সাইকিয়া জানিয়েছিলেন ভোর পাঁচটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এই বনধ পালন করবেন তাঁরা। যদিও প্রাথমিকভাবে এই বনধের প্রভাব গোটা রাজ্য জুড়ে না পড়লেও,অসমের ৫-৬টি জেলায় এই বনধের প্রভাব পড়বে বলে জানা গিয়েছে। এএকেপিএস-এর সাধারণ সম্পাদক রণজিৎ কুমার রায় জানিয়েছেন, কোচ রাজবংশী এবং অন্যান্য দেশীয় সম্প্রদায়ের বিশেষত বোরোল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল এবং নিম্ন অসমের প্রায় সাড়ে চার লক্ষ মানুষকে এনআরসি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি এই সম্প্রদায়ের মানুষের বিরুদ্ধে একপ্রকার ষড়য়ন্ত্র করেই তাঁদের এই তালিকা থেকে বাদ দিয়ে তাঁদের বিদেশি প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এবারের এনআরসি তালিকায় নাম নথিভুক্ত হয়েছে ৩,১১,২১,০০৪ জনের। আর তালিকায়ে নাম নেই ১৯,০৬,৬৭৫ জন মানুষের। এদের মধ্যে অনেক মানুষই এমন রয়েছেন যাঁরা এনআরসি-তালিকায় নাম নথিভুক্তকরণের জন্য আবেদনই করেননি। প্রসঙ্গত অসমে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সময় থেকেই এনআরসি গলার কাঁটা হয়ে বিধে ছিল অসমের মানুষদের। এনআরসি-তে নাম উঠবে কিনা এই আতঙ্কে মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছিলেন অনেক মানুষ। আবার এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার পরও তাতে নাম না থাকায় আত্মহত্যা করেছেন বহু মানুষ।
অর্থনীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন, তিহার জেল থেকেই টুইট করে জানালেন পি চিদম্বরম
আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা, প্রাণ গেল ছয় বছরের শিশুর
পক্ষীকূল বাঁচাতে অভিনব উদ্যোগ,অপ্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে কৃত্রিম পাখির বাসা বানিয়ে তাক লাগালেন ব্য়ক্তি
কেন্দ্রের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, যাঁদের নাম নাগরিকপঞ্জীতে নেই, তাঁদের এখুনি বিদেশি বলে ঘোষণা করা হবে না। এনআরসি তালিকায় এবার যাঁদের নাম ওঠেনি তাঁরা সকলেই ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। আপিল করার সময়সূচী ৬০ দিন থেকে বাড়িয়ে দিয়ে করা হয়েছে ১২০ দিন