সংক্ষিপ্ত

তৃণমূলের যুবরাজের ত্রিপুরায় পাড়ি দেবার আগেই ছিন্নভিন্ন হল তৃণমূলের পোস্টার। ইতিমধ্যেই ছবি দিয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে তীব্র নিন্দা করেছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। 
 

তৃণমূলের যুবরাজের ত্রিপুরায় পাড়ি দেবার আগেই ছিন্নভিন্ন হল তৃণমূলের পোস্টার। ইতিমধ্যেই ছবি দিয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে তীব্র নিন্দা করেছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। উল্লেখ্য, সোমবারেই ত্রিপুরায় 'খেলা' শুরু হওয়ার কথা অভিষেকের। আর তার আগেই এহেন ঘটনায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল।

আরও পড়ুন, 'Alvida'-র রহস্য বাড়িয়ে দিলীপকে আক্রমণ, নাড্ডার অনুরোধে ফিরছেন কি বাবুল

সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে, 'রবিবার রাতে আগরতলায়, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পোস্টার এবং আমাদের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টারগুলি সম্পূর্ণ ছিন্নভিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। সোমবারের ইভেন্ট সম্পর্কিত পোস্টারগুলি সবই ছিড়ে ফেলা হয়েছে।রাজ্যের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব  প্রদর্শন হচ্ছে। আমরা এই ধরনের প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাই।' প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এবার সেখানে নিজেদের জমি শক্ত করতে চলেছে তৃণমূল। পাশাপাশি ত্রিপুরায় তৃণমূলের জমি কতটা মজবুত তা দেখতে গিয়েছিল ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের ২৩ জন সদস্য। কিন্তু আচমকাই সেখানে বিপর্যয় নেমে আসে তৃণমূলের আকশে। কোভিড পরিস্থিতির কথা বলে হোটেলের মধ্যে 'বন্দি' করে রাখা হয় তাঁদের। এদিকে সেই কারণেই শুক্রবার ত্রিপুরা সফরে যাওয়ার কথা ছিল তৃণমূলের যুবরাজের। তবে সেই সফর বাতিল করেন তিনি। সোমবারই আগরতলা পাড়ি দেওয়ার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে তার আগে ফের তৃণমূল কংগ্রেসের পোস্টার ছিন্নভিন্ন হয়ে চাপ বাড়ল ত্রিপুরায়।

"

আরও পড়ুন, কোভিডে শুধু কলকাতাতেই মৃত্যু ৫ হাজার ছুঁইছুঁই, চিন্তা বাড়াচ্ছে বাংলার ৭ জেলা

প্রসঙ্গত, একটা সময় ত্রিপুরায় ঘাসফুল শিবির সামলাতেন মুকুল রায়। তারপর বিজেপি যেতেই ত্রিপুরার তৃণমূল সংগঠন ক্রমে ক্ষীয়মান হতে শুরু করে। এদিকে মুকুল রায় বিজেপিতে যেতেই ত্রিপুরায় তৃণমূলের অন্যতম নেতা সুদীপ রায় বর্মণও চলে যান বিজেপিতে। সূত্রের খবর, একাধিক বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই এই সকল বিজেপি বিধায়করা বাংলায় এসে তৃণমূল শীর্ষ নের্তৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাত করতে পারেন। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর, একাধিক রাজ্যে শীঘ্রই সংগঠন বিস্তার করতে চায় জোড়াফুল শিবির। সেই সংগঠন বিস্তারের জন্যে মুকুল রায় কাজ করতে পারেন। অপরদিকে সুদীপ রায় বর্মণের তরফে ইতিমধ্যেই ত্রিপুরাতে 'বন্ধুর নাম ত্রিপুরা' বলে একটি সংগঠন করেছেন। তৃণমূল চাইছে এই সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করতে। তবে তৃণমূলের নেতা সুখেন্দু শেখর রায় জানিয়েছেন, সর্বত্র ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকে। রাজনীতিতে অজাত শত্রু বলে কিছু হয় না। এখন যারা বিজেপিতে থেকে ত্রিপুরায় তাঁদের বিরোধিতা করছে তাঁরা একটা সময়ে কংগ্রেসে ছিল। তারপর তৃণমূল কংগ্রেসে। ফলে চেনা জানার জমি তৈরিই আছি। তাঁদের নিয়ে আলোচনা হতে পারে।'

     আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে

আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা 

আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস 

YouTube video player