পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় যুক্ত সন্ত্রাসবাদীদের চিহ্নিত করে তাদের নির্মূল করার অভিযান শুরু করেছে ভারত। তাতে প্রথম দিনেই এল বড় সাফল্য। জম্মু ও কাশ্মীরের বান্দিপোরায় এক এনকাউন্টারে লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ কমান্ডার আলতাফ লালি নিহত হয়েছে।

পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় যুক্ত সন্ত্রাসবাদীদের চিহ্নিত করে তাদের নির্মূল করার অভিযান শুরু করেছে ভারত। তাতে প্রথম দিনেই এল বড় সাফল্য। জম্মু ও কাশ্মীরের বান্দিপোরায় এক এনকাউন্টারে লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ কমান্ডার আলতাফ লালি নিহত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওর বৈসরানে জঙ্গি হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল আলতাফ লালি।

শুক্রবার সকালেই থেকেই নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ভারতীয় সেনা বাহিনী ও জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ বান্দিপোরায় যৌথ তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল। সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে ভোর থেকেই শুরু হয়েছিল গুলির লড়াই। এই সংঘর্ষে সন্ত্রাসবাদীদের তাড়া করতে গিয়ে গুলি বিনিময়ের সময়ই আহত হয়েছে দুই পুলিশ কর্মী। 

ইতিমধ্যেই সেনা প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী শ্রীনগর পৌঁছেছেন। সেখানে তাঁকে বান্দিপোরয় হওয়া সেনা অভিযান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। তিনি পরিস্থিতির একটি নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠকও করবেন। প্রাথমিকভাবে সেনা কর্তারা মনে করছেন সেনা অভিযানে লস্করের একজন মাথাকে হত্যা করায় তদন্ত কিছুটা হলেও দ্রুতগতিতে হবে।

পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত দুই লস্কর-ই-তৈবা বাড়ি উড়ে গেল বিস্ফোরণে। অনন্তনাগের বাসিন্দা আলিদ হুসেন ঠোকর আর আসিফ শেখের বাড়িপুরোপুরি ধ্বংসাবসেশেষ পরিণত হয়েছে। পহেলগাঁও হামলায় এই দুই জঙ্গি সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিল বলেও প্রাথমিক তদন্তের দাবি করেছে নিরাপত্তা রক্ষীরা।

আদিল ঠোকর অনন্তনাগের বাসিন্দা। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই পহেলগাঁও হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান ভারতীয় আধিকারিকদের। এই হামলার ঘটনায় সে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিল। আদিল ঠোকর পাকিস্তানে গিয়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণও নিয়ে এসেছিল ২০১৭ সালে। অন্যদিকে অন্য অভিযুক্ত আসিফ শেষ হামলার ঘটনায় যুক্ত বলেও মনে করছে। বুধবারই জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ আদিল ঠোকর আর আশিফল শেখের স্কেক প্রকাশ করেছে। তাদের মাথার দাম ধার্য করেছে ২০ লক্ষ টাকা। অন্য দুই জঙ্গি পাকিস্তানের নাগরিক বলেও অনুমান পুলিশের। তবে স্কেচ প্রকাশ করেছে।

সূত্রের খবর লস্কর জঙ্গি আসিফ ঠোকরের বাড়ি বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেয় নিরাপত্তারক্ষীরা। আর আসিফের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেয়। যদিও নিরাপত্তাবাহিনীর পক্ষ থেকে এখনও এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানান হয়নি। কিন্তু জঙ্গি হামলা নিয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন কল্পনাতীত শক্তি দিয়ে জঙ্গিদের মোকাবিলা করা হবে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বড় পদক্ষেপ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।