সংক্ষিপ্ত
ফের জোর ধাক্কা খেল চিন
টেলিকম সুরক্ষা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল মোদী সরকার
এতে করে ভারতে বন্ধ হবে চিনা নজরদারি
একই সঙ্গে বাণিজ্যও কমবে চিনের
চিনের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ফের বাণিজ্যক্ষেত্রে চিনকে বড় ধাক্কা দিল ভারত। বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, নির্দিষ্ট কয়েকটি টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম বিক্রেতা সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। অর্থাৎ তাদের থেকে ভারতীয় টেলি যোগাযোগ সংস্থাগুলি কোনও সরঞ্জাম কিনতে পারবে না। একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি সংস্থাকে ভারতের টেলি যোগাযোগ সরঞ্জাম কেনার 'বিশ্বস্ত উত্স' হিসাবে মনোনীত করা হবে। সেই তালিকা মেনে টেলিকম সংস্থাগুলিকে পণ্য এবং পরিষেবা কিনতে হবে।
এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সুরক্ষা বিষয়ক কমিটি এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি আরও জানান, 'টেলিকম খাতের সুরক্ষা বাড়ানোর' জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি বিশ্বস্ত উত্সের তালিকা এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য উত্স নয় এমন সংস্থার তালিকা তৈরি করা হবে।
আরও পড়ুন - বাবা জেলবন্দি, পালিয়েছে মা - ফুটপাতে নেমে আসা কিশোরকে ছেড়ে যায়নি শুধু পোষ্য কুকুর
আরও পড়ুন - জুয়ায় হেরে গিয়ে বউকে গণধর্ষণের অনুমতি, গুণধর স্বামী পরে অ্যাসিড ঢালল 'শুদ্ধ করতে'
আরও পড়ুন - 'ডান্স মহামারি'-র কথা শুনেছেন কখনও, আক্রান্তরা এত বেশি নাচে যে শেষে তাদের মৃত্যু হয়
সরাসরি চিনের নাম না করা হলেও, এই সিদ্ধান্ত যে চিনা হুমকির পরিপ্রেক্ষিতেই তা বলাই বাহুল্য। বস্তুত ভারতে বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বিএসএনএল সহ বহু টেলিকম সংস্থাই টেলি যোগাযোগ সরঞ্জামের যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করে হুয়ায়েই-এর মতো বেশ কয়েকটি চিনা সংস্থার কাছ থেকে। এমনকী ভারতে ৫জি নেটওয়ার্ক তৈরির ক্ষেত্রেও বিএসএনএল চিনা সংস্থাগুলির যন্ত্রাংশের উপরই নির্ভর করছিল। কিন্তু, চলতি বছরে অভূতপূর্ব চিনা আগ্রাসন সেই ছবিটা পাল্টে দিয়েছে। মাত্র কয়েকদিন আগেই 'ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা, প্রতিরক্ষা, শান্তি -শৃঙ্খলার পক্ষে ক্ষতিকর' কর্মকাণ্ডের দায়ে মোদী সরকার বেশ কয়েকটি চিনা মোবাইল অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে। এরপরই টেলিকম যন্ত্রাংশ বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
আমেরিকা অবশ্য বহু আগে থেকেই ভারতকে চিনা টেলিকম যন্ত্রাংশ তৈরির সংস্থাগুলি সম্পর্কে সতর্ক করছিল। এই সংস্থাগুলি বিশেষ করে হুয়ায়েই সংস্থা সরাসরি চিন সরকার ও চিনা কমিউনিস্ট পার্টির স্বার্থে কাজ করে বলে মার্কিন গোয়েন্দারা সতর্ক করেছেন। এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে চিন সরকার গোটা বিশ্বের উপর নজরদারি চালায় বলে দাবি করেছে তারা।