সংক্ষিপ্ত
কংগ্রেসকে জরুরি অবস্থা নিয়ে তোপ
রাজবংশ বলে আবারও নিশানা
এবার নিশানা করেন অমিত শাহ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শুরু করে লকডাউন এমনকী ভারত চিন সংঘর্ষ আর পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস সমানে আক্রমণ করে চলেছে। নিত্যদিনই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী নিশানা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। একের পর এক প্রশ্নবানে জর্জরিত করে তুলছেন শাসকদল বিজেপিকে। সনিয়া গান্ধী, কপিল সিব্বালের মত প্রথম সারির নেতারাও পিছিয়ে নেই। কিন্তু এবার সেই সব কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে রীতিমত আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতেই সোশ্যায় মিডিয়ায় হুংকার ছাড়লেন বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।
গালওয়ানের ১৪ নম্বর পেট্রোল পোস্টে তৈরি হয়েছে বাঙ্কার, রীতিমত যুদ্ধের দামামা বাজাচ্ছে চিন ..
সীমান্ত নিয়ে ভারত চিন কূটনৈতিক বৈঠক 'সদর্থক', সৈন্য সরাতে সহমত দুই দেশ ...
বৃহস্পতিবার অমিত শাহ সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে জরুরি অবস্থা নিয়ে রীতিমক কটাক্ষ করেন কংগ্রেসকে। তিনি বলেন, ভারতের একটি বিরোধী রাজনৈতির দল কংগ্রেস এবার নিজেকে প্রশ্ন করুক, কেন জরুরি অবস্থার মানসিকতা থেকে যায়?কেন দলের কোনও নেতা যারা রাজবংশের সদস্য নন তাঁরা কোনও মন্তব্য করতে পারেন না?কংগ্রেসের নেতারা হতাশ হচ্ছেন কেন ? অন্যথায় মানুষের সঙ্গে তাঁদের দূরত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে তিনি রাজপরিবার শব্দটির ব্যবহার করে গান্ধী পরিবারকেই বোঝাতে চেয়েছেন। আর তাঁর আরও অভিযোগ গান্ধী পরিবারের জন্যই কংগ্রেসের অন্যান্য নেতারা উঠে আসতে পারেন না। কারণ দিন কয়েক আগেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর সমালোচনা করায় কংগ্রেস মুখপাত্রের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সঞ্জয় ঝাকে। সরাসরি নাম না করে এই বিষয়টিকেই হাতিয়ার করেন অমিত শাহ। গতকাল ঠিক এই ভাষাতেই বিজেপি নেতা জেপি নাড্ডা আক্রমণ করেছিলেন কংগ্রেসকে।
এদিন জরুরি অবস্থার ৪৫তম বর্ষ। আর এই দিনটিকেই হাতিয়ার করে বিজেপি আরও একবার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অস্ত্রে শান দিতে মরিয়া। আর সেই জন্যই জরুরি অবস্থা নিয়েও কংগ্রেসকে নিশানা করে সোশ্যায় মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদীর প্রধান সেনাপতি অমিত শাহ। তেমনই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।