'লাপাতা প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি'! ধনখড় কোথায় রয়েছেন? 'শাহি' বিবৃতি দাবি কপিল সিবালের
রাজ্যসভার প্রাক্তন সভাপতি জগদীপ খনখড়ের পদত্যাগের পর থেকে তাঁর অবস্থান অজানা। কপিল সিবাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে এ বিষয়ে বিবৃতি দাবি করেছেন।

কপিল উবাচ
রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিবাল শনিবার বলেছেন যে, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের পদত্যাগের পর থেকে তাঁর অবস্থান বা তার সম্পর্কে কোনও তথ্য জানা যাচ্ছে না। এই বিষয়ে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে এ বিষয়ে বিবৃতি দিতে দাবি করেছেন। "পদত্যাগের পর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আমি আগে 'লাপাত্তা লেডিস' সম্পর্কে শুনেছি, কিন্তু 'লাপাত্তা' উপরাষ্ট্রপতির কথা এই প্রথম শুনলাম," সাংবাদিকদের এমনটাই বলেছেন কংগ্রেসের সাংসদ তথা আইনজীবী।
ফোনেও সাড়া নেই!
তবে কপিল সিবাল এখানেই থেকে থাকেননি। তিনি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের 'নিখোঁজ জ' হওয়া নিয়ে রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, 'এখন দেখছি বিরোধী পক্ষই পারে প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতিকে রক্ষা করতে।' কপিল সিবাল বলেন, "আমি আগে তাঁকে ফোন করেছিলাম; তাঁর পিএ ফোন ধরে বলেছিলেন যে তিনি বিশ্রাম নিচ্ছেন। এরপর আর কেউ ফোন ধরছে না। অনেক নেতাও বলেছেন যে তিনি ফোন ধরছেন না। তাহলে আমরা কী করব? হেবিয়াস কর্পাস বা অন্য কিছু দায়ের করতে হবে?" প্রশ্ন করেন সিবাল।"স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নিশ্চয়ই এ বিষয়ে তথ্য পেয়েছে, তাই অমিত শাহের এ বিষয়ে বিবৃতি দেওয়া উচিত... আমি তাঁর জন্য চিন্তিত," কপিল সিবাল এমনটাই বলেন।
ধনখড় নিয়ে আলোচনায় 'না'
বৃহস্পতিবার, রাজ্যসভার উপ-সভাপতি হরিবংশ "রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের অপ্রত্যাশিত পদত্যাগ" এবং প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি স্থগিতাদেশের নোটিশ প্রত্যাখ্যান করেছেন। ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগের সাংসদ আব্দুল ওয়াহাব ২৬৭ নিয়ম অনুযায়ী 'মাননীয় রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের অপ্রত্যাশিত পদত্যাগ' নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি সেখানে ধনখ়ড় বর্তমানে কোথায় রয়েছেন সেই বিষয়েও কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি সরকার পক্ষ।
হঠাৎ পদত্যাগ
বিরোধী দলের একাধিক নেতা জগদীপ ধনখড়ের পদত্যাগ নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন, দাবি করেছেন যে সরকার পক্ষের নেতাদের মধ্যে মতবিরোধের কারণে প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। ধনখড় ২১ জুলাই স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে হঠাৎ করেই পদত্যাগ করেন। পরের দিনই রাজ্যসভায় পদত্যাগের বিষয়টি জানানো হয়।
প্রথম থেকেই সন্দেহ কংগ্রেসের
২৩ জুলাই, কংগ্রেস প্রধান এবং রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে পদত্যাগ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছিলেন যে তাঁর সিদ্ধান্তে কিছু একটা ঠিক নেই। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় খাড়গে বলেছিলেন যে সরকারের উচিত খনখড়ের পদত্যাগের কারণ জানানো। "সরকারের উচিত জবাব দেওয়া কেন তিনি পদত্যাগ করেছেন। আমি দেখতে পাচ্ছি 'ডাল মে কুছ কালা হ্যায়'। তাঁর স্বাস্থ্য ঠিক আছে। তিনি সবসময় আরএসএস এবং বিজেপির পক্ষে কথা বলতেন। কে এবং কী তাঁর পদত্যাগের পেছনে আছে তা দেশের জানা উচিত," তিনি বলেছিলেন।

