সংক্ষিপ্ত
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের ফাইনাল টাচ ছিল অমিত শাহের উপত্যকা সফর। বসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল কে জে এস ধিলোন তাঁর নতুন বইয়ে তেমনই দাবি
২০১৯ সালের ২৬ জুন অমিত শাহের জম্মু ও কাশ্মীর সফর ছিল সীমান্তবর্তী রাজ্য থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ফাইনাল টাচ। অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল কে জে এস ধিলোন তাঁর নতুন বইয়ে তেমনই দাবি করেছেন। তাঁর নতুন বই 'কিতনে গাজি আয়ে কিতনে গাজি গেয়ে' মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তিপাবে। ২০১৯ সালে এই দিনেই আত্মঘাতী গাড়ি হামলায় কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিস ফোর্সের ৪০ জওয়ান একসঙ্গে নিহত হয়েছিল। প্রেমের দিনে রক্তে ভেসে গিয়েছিল উপত্যকার মাটি। যখন ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তখন ধিলোনে কাশ্নীরের স্থানীয় সেনা কমান্ডারের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
ধিলোন তাঁর বইতে বলেছিলেন তিনি রাত ২টোর সময় একটি ফোন পেয়েছিলেন। তাঁর সকাল ৭টার সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথা জানান হয়েছিল। তাই তিনি মনে করছেন ২০১৯ সালের ২৬ জুন অমিত শাহের জম্মু ও কাশ্মীর সফর ছিল নাটকীয় ঘোষণার পূর্বসূরি। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সেই বৈঠকের বিষয়ে বেশি কথা উল্লেখ করেননি ধিলোন। ধিলোন সেনা বাহিনীর কৌশলগত শ্রীনগরের XV কর্পসের প্রধান ছিলেন। তাই জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি তিনি অনেকটাই ভাল বুঝতেন। তিনি আরও লিখেছেন, মূল বিষয়গুলি ছাড়াও অনেক সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে সেদিন আলোচনা হয়েছিল। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন সেদিনের বৈঠকে কী কী খাওয়া দাওয়া হয়েছিল। আলু পরটার সঙ্গে পরিবেশন করা হয়েছিল গুজরাটের প্রধান খাবার ধোকলা।
তিনি আরও বলেছেন, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ ক্ষমতা প্রত্যাহার নিয়ে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে তা নিয়েও আলোচন হয়েছিল। তিনি আরও বলেন 'আমাকে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে, নিখুঁত বস্তুনিষ্ঠতা ও দুর্দান্ত পেশাদার ইনপুটের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেরেছিলেন। এজেন্টার সঙ্গে সম্পূর্ণ পরিচিত ছিলেন। তিনি ঘোষণার আগে ব্যাপক হোমওয়ার্ক করেছিলেন। ' ধিলোন আরও বলেন ,'আমারা খোলামেলা ও ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল।' তিনি বলেন তিনি তাৎক্ষণিক প্রক্রিয়ায় জানিয়েছিলেন, 'আমাদের যদি ইতিহাস লিখতে হয় তাহলে আমাদের ইতিহাস বানাতে হবে।'
২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট সরকারের সঙ্গে শ্রীনদরে এটাই ছিল শেষ বৈঠক। তারপরই ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। এই ধারার মাধ্যমে আগের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য বিশেষ মর্যাদা পেত। তারপরই জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ দুটি আদালা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়।
নিজের বইতে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট ইন্টারনেট বন্ধের বিষেয় নিয়েও আলোচনা করেছেন। বলেছেন, জীবন ও সম্পদের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হতে না দেওয়ার পাশাপাশি সামীন্তের ওপার থেকে মিথ্যা প্রচার রুখতেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, সবশেষে তিনি সাফল্য অর্জন করেছিলেন। যা নিয়ে তিনি গর্বিত।
আরও পড়ুনঃ
জেলে বলেই দলের অন্দরে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন অনুব্রত, কাজল শেখের অভিযোগে স্পষ্ট তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব
বিনিয়োগে আকর্ষণ বাড়াবে দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ে,প্রথম পর্বের উদ্বোধন করে দাবি মোদীর
'প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে', মোদীর পাল্টা মানিকের মন্তব্যে তুলকালাম ত্রিপুরায়