সংক্ষিপ্ত
শিবের। কর্ণাটকের রায়চুর শহরের শক্তি নগরের কাছে কৃষ্ণা নদীর তলদেশ থেকে পাওয়া গিয়েছে এই মূর্তি। মনে করা হচ্ছে, মূর্তি দুটো ১১ শতকের এবং কল্যাণী চালুক্য রাজবংশের। রায়চুর-তেলেঙ্গানা সীমান্তে একটি সেতু নির্মাণের সময় এই মূর্তি উদ্ধার হয়েছে।
চালুক্য সাম্রাজ্য ছিল দক্ষিণ ভারতের একটি প্রাচীন সাম্রাজ্য। এই সাম্রাজ্য ষষ্ঠ শতক থেকে বারো শতক পর্যন্ত শাসন করেছে। চালুক্য সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন দ্বিতীয় পুলকেশি। এবার উদ্ধার হল সেই সময়কার এক বিষ্ণু মূর্তি। এমনই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।
সদ্য রায়চুর থেকে উদ্ধার হয়েছে দুটি মূর্তি। একটি ভগবান বিষ্ণুর মূর্তি এবং অন্যটি ভগবান শিবের। কর্ণাটকের রায়চুর শহরের শক্তি নগরের কাছে কৃষ্ণা নদীর তলদেশ থেকে পাওয়া গিয়েছে এই মূর্তি। মনে করা হচ্ছে, মূর্তি দুটো ১১ শতকের এবং কল্যাণী চালুক্য রাজবংশের। রায়চুর-তেলেঙ্গানা সীমান্তে একটি সেতু নির্মাণের সময় এই মূর্তি উদ্ধার হয়েছে।
সেতু নির্মাণের সময় এই মূর্তি উদ্ধার হয়েছে। ভগবান কৃষ্ণের দশম অবতারের চিত্র এটি। এবং ভগবান শিবের প্রতীক লিঙ্ক। নদী থেকে মূর্তি উদ্ধার হয়েছে।
ঐতিহাসিক পদ্মজা দেশাই হলেন রায়চুরের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি। তিনি দাবি করেছেন, মূর্তিগুলো ধর্মীয় মন্দির ধ্বংসের সময় ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এক সময় এই অঞ্চলে শাসনকারী বিভিন্ন রাজপরিবারের মধ্যে যুদ্ধ ঘটেছিল। ১৬৩ টির বেশি যুদ্ধ হয়েছিল সে সময়। অনুমান করা হচ্ছে সে সময় নানান মূর্তি ধ্বংস করা হয়। হয়তো সে সময় এই মূর্তি দুটি কৃষ্ণা নদীতে নিমজ্জিত করা হয়েছিল। সবুজ মিশ্র শিলা থেকে তৈরি এই মূর্তি। যা কল্যাণী চালুক্য দ্বারা ব্যবহৃত স্বাক্ষর উপাদান।
কর্ণাটকের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্যকে শুধু নয় বরং ঐতিহাসিক অতীতের মূল্যবানকে আভাস দেয়। গভীর আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের কথাও জানান দেয়। সে যাই হোক, এই আবিস্কার এক অজানা দিক খুলে দেবে বলে মনে করছেন অনেকে। বর্তমানে মূর্তি উদ্ধার করে সুরক্ষিত স্থানে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন
ক্রমবর্ধমান দাম থেকে স্বস্তি দিতে মোদী সরকারের নয়া উদ্যোগ! নামমাত্র দামে মিলবে ভারত চাল