সংক্ষিপ্ত
- দুই মেয়েকে একসঙ্গে দুই প্রাপ্ত বয়েস্কো মেয়েকে খুন
- খুনের মূল অভিযুক্ত বাবা ও মায়ে
- অভিভাবকরা অধ্যাপক হিসেবেই পরিচিত
- দুজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ
একজন নয় দুই সন্তানকে নৃশংশভাবে খুন করার অভিযোগ উঠল বাবা ও মায়ের বিরুদ্ধে। নিজেদের সন্তানকে হত্যা করার পরেও অভিভাবকরা মানতে নারজ তারা তাদের কন্যাসন্তানদের খুন করেছে। তারা বারবার দাবি করেছে তারা নাকি বাঁচিয়ে তুলতে পারবে তাদের দুই সন্তানকে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান তন্ত্র সাধনার জন্যই দম্পতি তাদের মেয়েদের খুন করেছে।
অন্ধ্র প্রদেশের চিত্তুর জেলার অভিজাত এলাকার বাসিন্দা ভ্যারেলু পুরুষোত্তম নাইডু ও তার স্ত্রী পদ্মজা। পুরুষোত্তম সরকারি কলেজের সহ উপাচার্য। সে রসায়নের অধ্যাপক। তার স্ত্রী একটি বেসরকারি কলেজের অঙ্কের অধ্যাপক। পদ্মজা গণিত স্বর্ণপদক প্রাপ্ত। তাদের দুই সন্তানও কৃতী। বড় মেয়ে আলেখ্যা একটি ভোপালের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউটের ফরেস্ট ম্যানেজমেন্টে চাকরি করতেন। কিন্তু সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য তিনি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। সেখানেই পড়াশুনা করতেন। ছোট মেয়ে সাই বিদ্যা পড়শুনা করছিলেন।
ভূস্বর্গের নতুন ঠিকানা ইগলু ক্যাফে, কাশ্মীরে বলেই নর্থপোলের অভিজ্ঞতাহবে আপনার ...
26th January শুধু সাধারণতন্ত্র দিবসই নয়, এই দিনে দেশ স্মরণ করে পূর্ণ স্বরাজের দাবিও ...
তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন দুই মেয়ের বাড়ির ভিরত থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। যেখানে তাঁদের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল সেখানে দেখা গেছে একটি লাল শালু ও পুজোর সামগ্রী রয়েছে। তাতেই পুলিশের অনুমান অপ্রাকৃতিক ক্ষমতা অর্জন বা তন্ত্র সাধনার জন্যই উচ্চ শিক্ষিত বাবা মা নিজের সন্তানদের বলি দিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পুলিশের অনুমান ডাম্বেলের মত ভারী কোনও বস্তু দিয়ে দুই মেয়ের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ তাদের মৃতদেহ রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। পুলিশ আরও জানিয়েছে, পদ্মজা বারবার বলেছিল তারা তাদের মেয়েদের জীবন ফিরিয়ে দিতে পারবে। অভিযুক্ত পুরুষোত্তম নাইডু তার এক সহকর্মীকে ফোনে সমস্ত ঘটনাটি বলেছিল। তারপর তারা বলেছিল তারা মেয়েদের জীবন ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করছে। সেখান থেকেই পুলিশ খবর পেয়ে নিহতদের বাড়িতে যায়। উদ্ধার হয় দুই কন্যার নিহত দেহ। পুলিশ উচ্চ শিক্ষিত দম্পতিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।