সংক্ষিপ্ত
- ভারতবাসীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ সাধারণতন্ত্র দিবস
- ১৯৩০ সালে এই দিনেই উঠেছিল পূর্ণ স্বরাজের দাবি
- সংবিধার কার্যকর হয় ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি
- সকাল থেকে প্রথা মেনে পালন করা হয় একাধিক অনুষ্ঠান
ভারত হল উৎসবের দেশ। আর এই দেশের উৎসবের মূল মন্ত্রই হল বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যকে ফুটিয়ে তোলা। সবকটি উৎসবের মাধ্যমে সামনে আনা হয় ধর্মীয় ঐক্যকে। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল ২৬ জানুয়ারির অনুষ্ঠান। কারণ এই দিনটি দেশের সাধারণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আর এভাবেই সংবিধান কার্যকর হওয়ার দিনটিকে চিহ্নিত করা হয়। সাধারণতন্ত্র দিবস জাতীয় উৎসব হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এইদিনটিতে কুচকাওয়াজ সহ একাধিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এই দিনটির গুরুত্ব কী?
সাধারণতন্ত্র দিসবের গুরুত্ব
আজ থেকে ৭১ বছর আগে দেশের সংবিধান কার্যকর হয়েছিল। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে মর্যাদা পেয়েছিল ভারত। ব্রিটিশ শাসনের প্রায় ২০০ বছর পর ১৯৪৭ সালে ১৫ অগাস্ট ভারত স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় ভারতের কোনও নিজস্ব সংবিধান ছিল না। কিন্তু সংবিধানের প্রয়োজনীয় অনুভব করেছিলেন তৎকালীন প্রধানরা। আর সেই কারণেই বিআর আম্বেদকরের নতৃত্বে একটি খসড়া কমিটি গঠন করা হয়েছিল। গঠনতন্ত্রের খসড়া তৈরি করতে সেই কমিটির সময় লেগেছিল প্রায় ২ বছর ১১ মাস ১৮ দিন। সমস্ত প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করার পর এটি ১৯৪৯ সালের, ২৬ নভেম্বর গণপরিষদের মাধ্যমে গৃহীত হয়েছিল। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি এটি কার্যকর করা হয়েছিল। সেই থেকেই দিনটিকে স্মরণ করে পালন করা হয় সাধারণতন্ত্র দিবস।
প্রাক স্বাধীনতাকালে ১৯৩০ সালের ২৬ জানুয়ারি পূর্ণ স্বরাজের দাবি তোলা হয়েছিল। সেই দিনটির কথা মাথায় রেখে সংবিধান কার্যকর করা হয়েছিল ১৯৫০ সালের একই দিনে। সংবিধান ভারতকে সার্বভৌম্য, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, প্রজাতন্ত্র, হিসেবে ঘোষণা করেছে। যা দেশের সমসত নাগরিকদের জন্য ন্যায়বিচার, সমতা আর স্বাধীনতার পক্ষেই সওয়াল করে। আর সেই বিশেষ দিনটিক কথা স্মরণ করে এখনও দেশগুড়ি সাধারণতন্ত্র দিবেস বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধতে '৫৬ ইঞ্চি'র তীর রাহুল গান্ধীর, সঙ্গে দিলেন চিন সমস্যা সমাধানের প্রস্তাব ..
ভূস্বর্গের নতুন ঠিকানা ইগলু ক্যাফে, কাশ্মীরে বলেই নর্থপোলের অভিজ্ঞতাহবে আপনার ...
সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান
বিশেষ দিনটি কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার সহ বেসরকারি সংস্থাগুলির উদ্যোগে একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মূল অনুষ্ঠান হয় দেশের জাতীয় রাজধানী দিল্লির রাজপছে। সেখানে সকালে কুচকাওয়াজের ব্যবস্থা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ইন্ডিয়া গেটের অমর জওয়ান জ্যোতিতে সেনা শ্রদ্ধা জানান। সেখানে থেকেই শুরু হয় অনুষ্ঠান। রাষ্ট্রপতি রাজপথে পতাকা উত্তোলন করেন। তারপরই শুরু হয় বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ। যেখানে দেশের নৌ বাহিনী, স্থলবাহিনী ও বিমান বাহিনী শক্তিপ্রদর্শন করে। রাষ্ট্রপতি এদিন সামরিক ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিক ও শিশুদের বীরত্ব ও সাহসিকতার জন্য পুরষ্কার প্রদান করেন।
উৎসবে করোনাভাইরাসের বাধা
মহামারির কারণে চলতি বছর করোনাভআইরাস সংক্রান্ত প্রোটোকল মেনেয়ই অনুষ্ঠান করা হবে। দিল্লিতে বিশাল সমাবেশের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরিবর্তন আনা হয়েছে প্যারেডেও। চলতি বছর কোনও প্রধান অতিথি ছাড়াই হবে সাধারণতন্ত্র দিসবের অনুষ্ঠান। কারণ ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেনের কারণে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশে ছেড়ে বিদেশ ভ্রমণে রাজিনন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।