সংক্ষিপ্ত
সদ্যোজাতের সঙ্গে সময় কাটাতে উচ্চ বেতনের চাকরি ছাড়লেন আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি) খড়গপুরের স্নাতক অঙ্কিত জোশী।শুধু কি সদ্যোজাতের সঙ্গে সময় কাটাতেই এমন 'উদ্ভট সিদ্ধান্ত ' বাবার ?
সবেমাত্র ১ মাস হলো জন্মেছে স্মিতি। তার আসার অনেক আগে থেকেই তার জন্য অপেক্ষায় দিন গুনছিলেন তার বাবা মা। অবশেষে তার আগমনবার্তায় খুশির জোয়ার বয়ে গেলো জোশি পরিবারে। কিন্তু সেই আনন্দে কোথাও বাঁধ সাধলো তার বাবার চাকরি। সদ্যজাত মেয়ের সঙ্গে যে একটু সময় কাটাবেন সে ফুরসৎ পাচ্ছিলেন না তিনি কিছুতেই মেয়ের বাবা অঙ্কিত যোশী । উপায় না পেয়ে সদ্যোজাতের সঙ্গে সময় কাটাতে উচ্চ বেতনের চাকরি ছাড়লেন আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি) খড়গপুরের স্নাতক অঙ্কিত জোশী।হিউম্যানস অফ বোম্বেকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে এপ্রসঙ্গে মুখ খোলেন তিনি। শুধু কি সদ্যোজাতের সঙ্গে সময় কাটাতেই এমন 'উদ্ভট সিদ্ধান্ত ' বাবার ? এর ফলে কি কোথাও বিঘ্নিত হবে না সদ্যোজাতের ভবিষ্যৎ ? সে নিয়েও আলোচনায় তোলপাড় নেটিজেনমহল।
অঙ্কিত বেশ কয়েকমাস আগে তিনি এক বিখ্যাত প্রাইভেট কোম্পানির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে যোগ দিয়েছিলেন। সবে শুরু করেছিলেন নতুন কাজ কিন্তু মেয়ের জন্মের পর যেন সব গেলো বদলে। নবজাতককে একটু একটু করে বেড়ে উঠতে দেখার লোভ সামলাতে পারলেন না বাবা । কিন্তু চাকরি থাকলে তাকে প্রায়ই যেতে হতো শহরের বাইরে। মেয়ের জন্মের পর সেটি করতে একেবারেই ইচ্ছুক নন 'বেবি ড্যাডি' অঙ্কিত। তাই এমন সিদ্ধান্ত তার। তার এই সিদ্ধান্তকে একেবারেই সমর্থন করেননি কেউ তার স্ত্রী ছাড়া। বরং অঙ্কিতের এমন সিদ্ধান্তে খুব খুশিই হয়েছেন স্ত্রী আকাঙ্ক্ষা। মেয়ের জন্মের আগে চাকরি ছেড়েছেন তিনিও। এমনকি পদোন্নতির হাতছানিও তাকে আটকাতে পারেনি চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে।
অঙ্কিত বলেন ,'স্পিতির জন্মের পর আমি আরও দীর্ঘ বিরতি চেয়েছিলাম। আমি জানতাম যে কোম্পানি আমার ছুটি বাড়াতে পারবে না। এবং তাই, আমি কাজে ইস্তফা দিই। এইবিষয়টিকে আমি পিতৃত্বের পদোন্নতি বলে আখ্যায়িত করতে বেশি পছন্দ করবো। '
তার এই পদক্ষেপটি একেবারেই সহজ নয় , বলে ধারণা নেটিজেনমহলের। তাদের দাবি হয়তো এইরকম দু একটা ঘটনাই বদলে দেবে সমাজের পরিস্থিতি। মাতৃকালীন ছুটির সঙ্গে পিতৃকালীন ছুটির গুরুত্ব ঠিক কতটা তা আবারও প্রমান করলো এই ঘটনা। এই হৃদয়গ্রাহী গল্পটি ইতিমধ্যেই ১,৪৬,০০০ এরও বেশি লাইক ও হাজার হাজার মন্তব্য কুড়িয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। হৃদয় এবং হাততালির ইমোজিতে প্লাবিত হয়েছে মন্তব্য বাক্স। একজন ব্যবহারকারী তো লেখেন '"হ্যাঁ..পিতৃত্বকালীন ছুটি মাতৃত্বকালীন ছুটির মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ!' আবার ওপর একজন বলেন ,' এইসমস্ত ছোট ছোট মুহূর্তগুলোতেই লুকিয়ে থাকে আসল জীবন।'
আরও পড়ুনঃ
রবিবার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে কাতারের সামনে ইকুয়েডর, চমক দেখাতে তৈরি আয়োজকরা
কাতার বিশ্বকাপের জন্য তৈরি ৮টি স্টেডিয়াম, কতটা আধুনিক ব্যবস্থাপনা?