সংক্ষিপ্ত
সিবিআই দফতরে টানা ৯ ঘণ্টা জেরে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। রাত সাড়ে আটটার সময় দফতর থেকে বেরিয়ে গেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
দিল্লির মদনীতি-কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে টানা ৯ ঘণ্টা জেরা করল সিবিআই। এদিন বেলা ১১টা নাগাদ নিরাপত্তায় মোড়া কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসে ঢোকেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর দুর্নীতি দমন শাখার প্রথম তলার অফিসে প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া যায়। সেখানেই তদন্তকারী দলের সদস্যরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তারপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি সিবিআই দফতর থেকে বার হয়ে যান। সেই সময় কেজলিওয়াল অপেক্ষারত সংবাদ মাধ্যমের দিকে হাত নাড়েন। তবে গাড়িতে করে সোজা বেরিয়ে যান কেজরিওয়াল।
সূত্রের খবর সিবিআই দফতরে কেজরিওয়ালকে টানা জেরা করা হয়। তবে দুপুরের খাবার জন্য সামান্য বিরতি দেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর টানা সাড়ে আট ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে কেজরিওয়ালকে। যদিও তাঁকে যখন সিবিআই তলব করেছিল তখনই বেঁকে বসেছিল। কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। কিন্তু নির্ধারিত দিনে নির্ধারিত সময়ই তিনি সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন।
দিল্লির মদ নীতিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই মণীশ সিসোদিয়াকে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সেই সময় তাঁকেও টানা আট ঘণ্টা জেরা করা হয়েছিল। সিবিআই কর্তাদের অভিযোগ ছিল মণীশ সিয়োদিয়া তদন্তে তাদের সহযোগিতা করছিলেন না। বারবার সিবিআই কর্তাদের বিভ্রান্ত করছিলেন। অন্যদিকে যেদিন গ্রেফতার হন সেদিন সিবিআই দফতরে যাওয়ার আগেই সিসৌদিয়া বলেছিলেন তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে।
অন্যগদিকে এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন কেজরিওয়ালকে দুর্নীতির অভিযোগে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। অজয় মাকেন টুইটারে লেখা বার্তায় প্রথমেই জানিয়েছে দিয়েছেন, গোটাটাই তাঁর ব্যক্তিগত মত। তিনি বলেছেন, 'আমি বিশ্বাস করি যে কেজরিওয়াল এবং তার সহযোগীদের মতো ব্যক্তিরা যারা গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন তাদের কোনো সহানুভূতি বা সমর্থন দেখানো উচিত নয়।' তিনি আরও হলেন, মদ দুর্নীতি, ঘিদুর্নীতির অভিযোগদুলি অবশ্যই তদন্ত করে দেওয়া প্রয়োজন। দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের শাস্তি দেওয়া জরুরি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
টুইট বার্তায় অজয় মাকেন বলেছেন,ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস -সহ সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদের এটা স্বীকার করে নেওয়া ভাল যে কেজরিওয়াল দুর্নীতির মাধ্য়মে উপার্জিত টাকা পঞ্জাব, গোয়, গুজরাট, হিমাচলপ্রদেশ-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে কংগ্রেস পার্টির বিরুদ্ধে প্রচার করার জন্য খরচ করেছে। তিনি আরও বলেছেন কেজরিওয়াল ২০১৩ সালে আন্না হাজারের সঙ্গে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার লক্ষ্যে আম আদমি পার্টি প্রতিষ্টা করেছিলেন। দলটি দলটি লোকপাল বিল প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, যা বিরোধী দলগুলি কংগ্রেস পার্টির দুর্নীতির সমাধান হিসাবে দেখেছিল।