সংক্ষিপ্ত

 কাবুলের পতনের পর ভারতের নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর গুরুতর প্রভাব পড়তে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। স্থলবাহিনী ও তাদের গোয়েন্দা সংস্থাকে ভৌগলিক পরিস্থিতি অনুযায়ী কৌশল ও যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। 
 

গতমাসেই কাবুলের পতনের পর ভারতের নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর গুরুতর প্রভাব পড়তে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। স্থলবাহিনী ও তাদের গোয়েন্দা সংস্থাকে ভৌগলিক পরিস্থিতি অনুযায়ী কৌশল ও যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। মধ্য ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে ভারতীয় সীমান্ত ও অন্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানোর ওপরেও জোর দেওয়া হয়েছিল। কিছুদিন আগে নিরাপত্তা সংস্থা কর্তৃক জারি করা একটি নির্দেশে আশঙ্কা করা হয়েছিল যে সীমান্তে ওপারে পাকিস্তান থেকে সন্ত্রাসবাদীরা ভারতে প্রবেশ করতে পারে। পাশাপাশি পশ্চিম ও পূর্ব সীমান্ত দিয়েও সন্ত্রাসবাদীদের বেআইনি অনুপ্রবেশ হতে পারে। সেই জন্য সমস্ত সীমান্তগুলিকে সচেতন করা হয়েছিল।

 

ময়ানমারে সেনার বিরুদ্ধে সাধারণ নাগরিকদের যুদ্ধ, শরণার্থীদের দ্বিতীয় তরঙ্গ মিজোরামে

Afghan Women: তালিবানদের সমর্থনে মিছিল আফগান মহিলাদের, এযেন উল্টোরাজার দেশের কথা

এক কর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বর্তমান প্রশিক্ষণ মডিউল যেমন- বিএসএফ, এসএসবি, রাজ্য পুলিশ ইউনিট ও সিআইপিএফসহ জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ  রয়েছে। তালিবানরা কাবুল দখলের পর তা আরও বাড়ানো হয়েছে। বর্তমান নির্দেশে তাদের সীমান্ত ব্যবস্থাপনার পরিবর্তনশীল গতিশীলতার ওপরেও নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন এই নির্দেশিকাতে তালিবান সম্পর্কিত তথ্যের ওপরে জোর দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর  তালিবান ও তার সহযোগীরা যেসব পদ্ধতি অবলম্বন করে সেগুলির কথা মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। সেইমত দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। তালিবান সম্পর্কিত কেস স্টাডি করে গোয়েন্দা আর যুদ্ধের মডিউলয়ও প্রস্তুত করা হচ্ছে। 

Price Hike: পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে চোখে জল আসতে পারে উৎসবের দিনে, দাম বাড়ার আশঙ্কা এবারও

কেন্দ্র ও রাজ্যপুলিশের কাছে সমস্ত তথ্য বিস্তারিতভাবে দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই তারা যাতে সমস্ত তালিবানদের প্রতিহত করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে পারে। সীমান্তরক্ষী মূলত যারা চেকপোস্টগুলিতে কর্মরত তাদেরও তালিবানদের ইতিহাস ও কাজের ধরন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার যারা তালিবানদ ও আফগানিস্তান সম্পর্কে জানেন তাদেরই এই কর্মসূচির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে দুটি বৈঠক হয়েছে। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী তাদের সদস্যদের স্থানীয়ভাবে প্রস্তুত হওয়ার ওপর জোর দিয়েছে। পাশাপাশি দৈনিন্দিন কাজের সঠিক তথ্য যাতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা পড়ে তারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

YouTube video player