সংক্ষিপ্ত

ভারত চিন আলোচনা এখন কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে, এই প্রশ্নের উত্তরে সেনাপ্রধান বলেন, এই আলোচনা চলছে। প্রক্রিয়াধীন রয়েছে গোটা বিষয়। দুই দেশই চেষ্টা করছে যাতে সীমান্তের অচলাবস্থা কাটে। 

সীমান্ত নিয়ে কোনও আপোষ করবে না ভারত। সেনা অবস্থান বিন্দুমাত্র পরিবর্তন করা হবে না। এক সাক্ষাতকারে এই ভাষাতেই চিনকে হুমকি দিলেন ভারতীয় সেনা প্রধান মনোজ পান্ডে। তিনি এদিন বলেন সীমান্তের কোনও রকম বিশৃঙ্খলা যেমন ভারত বরদাস্ত করবে না, তেমনই ভারতীয় ভূখন্ডে দখলদারির সামান্য চেষ্টারও কড়া উত্তর দেবে সেনা। ভারত চিন আলোচনা এখন কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে, এই প্রশ্নের উত্তরে সেনাপ্রধান বলেন, এই আলোচনা চলছে। প্রক্রিয়াধীন রয়েছে গোটা বিষয়। দুই দেশই চেষ্টা করছে যাতে সীমান্তের অচলাবস্থা কাটে। 

এলএসি বরাবর যাতে উত্তেজনা কমানো যায়, সেটাই দুই দেশের আলোচনায় বেশি জায়গা পায় বলে জানান সেনাপ্রধান। তিনি বলেন “আমরা বিশ্বাস করি এটিই এগিয়ে যাওয়ার পথ। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমরা অন্য পক্ষের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে চলমান সমস্যাগুলির একটি সমাধান খুঁজে পাব,”। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রস্তুতির কথা তুলে ধরে সেনাপ্রধান বলেছেন যে অতিরিক্ত সরঞ্জাম এবং সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় ভারতের ফোকাস লজিস্টিক এবং অপারেশন প্রয়োজনীয়তা মেলে পরিকাঠামোর উন্নয়ন করা। 

উল্লেখ্য, প্যাংগং লেকের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্ত, গালওয়ান ভ্যালি ও গোগরা হট স্প্রিং এলাকা নিয়ে ভারত চিন জটিলতা কিছুটা কমেছে। জানা গিয়েছে আপাতত দুই দেশের মধ্যে ইস্যুগুলি হল হট স্প্রিংয়ের ১৫ নম্বর পেট্রলিং পয়েন্ট, দেপসাং ও দেমচকের অচলাবস্থা কাটানো। সূত্রের খবর এখনও পূর্ব লাদাখের এলাকাগুলির সাথে সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান হয়নি। হটস্প্রিংয় সংলগ্ন ১৫ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট থেকে চিনা সেনাদের সরিয়ে দেওয়া যায়নি। সম্প্রতি কাংকা লা-র কাছে গোগরা হটস্প্রিং এলাকায় রীতিমত ঘাঁটি তৈরি করে অবস্থান করেছে চিনা সেনা। 

সেখান থেকে চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া অন্যতম ইস্যু ছিল ভারতের কাছে। একই সঙ্গে দৌলতবেগ-ওল্ডি সেক্টরের ডোপসাং বুলেজ ও চার্ডিং নল্লায় ভারতীয় সেনাদের টহলের অধিকার পাওয়া। উভয় পক্ষই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর যুদ্ধবিমান সহ প্রায় পঞ্চাশ হাজার সেনা এবং ভারী সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করেছে। 

গত বছর ভারত চিন সংঘর্ষের পর এই এলাকায় সামরিক উত্তাপ এখনও কমেনি। প্যাংগং লেক এবং গোগরা হাইটসের অচলাবস্থাও আলোচনায় ছিল। ভারত ডিবিও এলাকা এবং সিএনএন জংশন এলাকার রেজোলিউশনেরও দাবি করে আসছে যা গত বছরের এপ্রিল-মে সময়সীমার আগে ছিল। 

'কংগ্রেসকে ব্ল্যাকমেল করতেই তৃণমূলকে ব্যবহার', দল ছেড়ে PK-কে কাঠগড়ায় তুললেন গোয়ার নেতা

রাহুল গান্ধীর জন্যই কি পিছিয়ে গেলেন প্রশান্ত কিশোর? কংগ্রেসে যোগদানে বাধা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

মাঝে মাঝেই কান চুলকায়, তাহলে এখন থেকে সাবধান হয়ে যান- নাহলে বড় বিপদ হতে পারে