সংক্ষিপ্ত

  • পুলওয়ামা হামলায় মৃত্যু হয় ৪৮ জন সিআরপিএফ জওয়ান-এর
  • এর পাল্টা হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা
  • বালাকোট হামলার পর, পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল ভারত
  • এমনটাই জানিয়েছিলেন সেনা জেনারেল বিপিন রাওয়াত

চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় নিরাপত্তা বাহিনীর একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা চালায় জইশ জঙ্গিরা। এই হামলার ফলে মৃত্যু হয় ৪৮ জন সিআরপিএফ জওয়ান-এর। আর এই হামলার দায় শিকার করে নিয়েছে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদ। 

আর এই জঙ্গি হামলার পাল্টা আক্রমণ হিসাবে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে একাধিক জঙ্গি শিবিরে হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা।  যার ফলে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয় একাধিক জঙ্গি শিবির সম্প্রতি সেনাবাহিনীর একটি সূত্র মারফৎ জানা গিয়ছে বালাকোটে সেই হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত ছিল ভারতীয় সেনা। প্রয়োজনে শত্রুপক্ষের এলাকায়ে গিয়েও হামলা চালানোর জন্যও তৈরি ছিল তাঁরা, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। সোমবার অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসারদের সঙ্গে একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন জেনারেল বিপিন রাওয়াত। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার হামলার পর পাকিস্তান যদি আবার কোনও পাল্টা আঘাত হানত তাহলে, তার মোকাবিলা করতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল ভারতীয় সেনা। 

আরও পড়ুন- পরিস্থিতি ঠিক থাকলে অস্ত্র ছাড়াই সেনারা মেলামেশা করবেন উপত্যকাবাসীর সঙ্গে:সেনাপ্রধান

কার্যত পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছিল ভারত।  প্রয়োজন পড়লে পাকিস্তানের মাটিতে গিয়েও যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত ছিল ভারত। সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উরিতে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরে ভারতীয় সেনাবাহিনী গোলাবারুদ কেনার জন্য এগারো হাজার কোটি টাকার গোলাবারুদ কেনার চুক্তি করে। মোট অর্ডারের ৯৫ শতাংশ পেয়ে গিয়েছে ভারতীয় সেনা। শুধু তাই নয়, প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে আরও অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র কিনতে ৩৩টি চুক্তিপত্র চূড়ান্ত করেছিল ভারতীয় সেনার তরফে। পাশাপাশি আরও নয় হাজার কোটি টাকার সমরাস্ত্র কেনার বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত হওয়ার পথে। 

সূত্রের তরফে আরও জানা গিয়েছে যে গত দু'বছরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মূল অস্ত্র ও গোলাবারুদের প্রাপ্যতা আগের থেকে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে, আগে এই সমরাস্ত্রের ঘাটতি ভারতীয় সেনার পক্ষে একটা সমস্যার জায়গা ছিল। উরি হামলার পর এইসব সমরাস্ত্রের সহজলভ্যতা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর এক শীর্ষকর্তা।