ক্লাউড সিডিং পদ্ধতিতে কৃত্রিম বৃষ্টি ঘটিয়ে দূষণ কমাবে দিল্লি। কিন্তু কীভাবে করা হয় এটি? জানুন সম্পূর্ণ পদ্ধতি।
দূষণ কমাতে দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টি (ক্লাউড সিডিং) একটি পদ্ধতি যেখানে বিমান বা গ্রাউন্ড-ভিত্তিক সিস্টেম ব্যবহার করে মেঘের মধ্যে সিলভার আয়োডাইডের মতো রাসায়নিক কণা ছড়ানো হয়। যা ঘনীভবন বা বৃষ্টির ফোঁটা তৈরি করতে সাহায্য করে। এটি বায়ুতে থাকা ধুলো এবং দূষক পদার্থ ধুয়ে ফেলতে পারে। এই পদ্ধতি কার্যকর হতে হলে আকাশে পর্যাপ্ত মেঘ থাকতে হবে এবং আবহাওয়ার অনুকূল পরিস্থিতি প্রয়োজন।
*** ক্লাউড সিডিং কীভাবে কাজ করে?
* রাসায়নিক পদার্থ ছড়ানো: ক্লাউড সিডিং-এর জন্য বিমান বা প্লেনের মাধ্যমে মেঘের মধ্যে সিলভার আয়োডাইড, পটাশিয়াম আয়োডাইড বা শুকনো বরফের মতো রাসায়নিক পদার্থ ছড়ানো হয়।
* ঘনীভবন নিউক্লিয়াস তৈরি: এই রাসায়নিক কণাগুলি বায়ুমণ্ডলের জলীয় বাষ্পের জন্য ঘনীভবন নিউক্লিয়াস হিসেবে কাজ করে।
* বৃষ্টির ফোঁটা তৈরি: জলীয় বাষ্প এই নিউক্লিয়াসের চারপাশে জমাট বেঁধে ছোট ছোট জলকণা তৈরি করে, যা পরে বড় হয়ে বৃষ্টির ফোঁটায় পরিণত হয়।
* দূষণ দূর করা: এই কৃত্রিম বৃষ্টির ফলে বায়ুমণ্ডলে মিশে থাকা ধুলো, ধোঁয়া এবং অন্যান্য দূষক পদার্থ ধুয়ে পরিষ্কার হয়ে যায়, ফলে বায়ুর গুণমান উন্নত হয়।
দিল্লিতে ক্লাউড সিডিংয়ের প্রাসঙ্গিকতা :
* উদ্দেশ্য: দিল্লির মারাত্মক বায়ুদূষণ, বিশেষ করে দীপাবলির পর সৃষ্ট ধোঁয়াশা কমাতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে।
* প্রয়োজনীয় শর্ত: এই প্রক্রিয়াটি কার্যকর করার জন্য নির্দিষ্ট আর্দ্রতা এবং মেঘের উপস্থিতি থাকা জরুরি।
* প্রকল্পের বাস্তবায়ন: আইআইটি কানপুর এই প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে এবং যদি আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুকূল থাকে, তবেই এটি কার্যকর করা হবে।
সাবধানতা অবলম্বন:
* বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃত্রিম বৃষ্টি একটি স্বল্পমেয়াদী সমাধান মাত্র এবং এটি একটি স্থায়ী সমাধান নয়।
* সঠিকভাবে পরিচালনা না করলে রাসায়নিক পদার্থগুলি পরিবেশগত ক্ষতি করতে পারে।

