সংক্ষিপ্ত

বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজের মুখ নিজেই পোড়ালেন অশোক গেহলট। বিধানসভায় বাজাট অধিবেশেন পুরনো বাজেট পড়ে গেলেন আট মিনিট ধরে।

 

আজবকাণ্ড রাজস্থানে। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে টানা আট মিনিট ধরে পুরনো বাজেট পড়ে গেলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। যা নিয়ে রীতিমত হুলস্থূল বেধে যায় রাজস্থান বিধানসভায়। পরপর দুবার অধিবেশন মুলতবি করে দিতে বাধ্য হল আধ্যক্ষকে। যদিও রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই ছিল গেহলট সরকারের শেষ বাজেট। যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই নিজের মুখ পোড়ালেন। তেমনই কানাঘুষো রাজস্থানের রাজনীতিতে।

শুক্রবার রাজস্থান বিধানসভায় ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য বাজেট পেশ করেছিল মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বাজেটের কয়েকটি অনুচ্ছেদ পড়ার পড়ই বিরোধী শিবিরের বিধায়করা চেঁচামেচি শুরু করে দেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল মুখ্যমন্ত্রী নতুন নয় গত অর্থবর্ষেক হাজেট পড়ছেন। যা শুনে রীতিমত বিব্রত হয়ে পড়েন ৭১ বছর বয়সী মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই কংগ্রেসের মুখ্যসচেতক বিধানসভাতেই বাজেটের নথি পড়ে গেহলটকে সতর্ক করেন। তারপরই গেহলট বুঝতে পারেন ঠিক কতবড় ভুল করেছেন।

কিন্তু ততক্ষণে সবকিছুই সরকার পক্ষের হাতের বাইরে চলে গেছে। আর সেই কারণে একাধিকবার বিধানসভায় দাঁড়ি দুঃখ প্রকাশ করেন অশোক গেহলট। পরিস্থিতি সামলাতে পিসি যোশী পরপর দুইবার বিধানসভার অধিবেশন মুলতবি করে দেন। ওয়াকিবহাল মহলের মত এমন নজির কোথাও নেই, যেখানে বাজেট অধিবেশন বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। একই সঙ্গে অধ্যক্ষ ১১-১১টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত কার্যধারা বাতিল করে দেন। তিনি বলেন যা ঘটেছে তা অত্যান্ত দুঃখজনক। মানুষেরই ভুল হয়। তবে তা দ্রুত সংশোধন করে নেওয়া হয়েছে।

দ্বিতীয়বার যখন বাজেট অধিবেশন শুরু হয় তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন তিনি তিনি দুঃখিত। ভুল করে অতিরিক্ত একটি পৃষ্ঠা যুক্ত করা হয়েছিল। এটি মানবিক ত্রুটি। একই সঙ্গে অশোক গেহলটও মনে করিয়ে দেন, বসুন্ধরা রাজে যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ভুল পরিসংখ্যান উপস্থাপন করা হয়েছে। পরে সেটাও সংশোধন করা হয়। পাল্টা তার জবাব দেন বসুন্ধরা রাজে। তিনি বলেন গেহলট যা করেছেন তা নিছকই অসাবধানতায় হয়েছে। পাল্টা তাঁর প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রী যদি এমন কাজ করে তাহলে রাজ্যের উন্নয়ন হবে কি করে।

মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ক্ষমা চাওয়ার পরে বিরোধী শিবির কিছুটা হলেও শান্ত হয়। তরাপরই বাজেট বক্তৃতা আবারও শুরু হয়। যদিও এদিন স্পিকার বিরোধীদের বিধানসভার মর্যাদা ও বাজেটের পবিত্রতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিরোধীরা শিবির ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রুটি পেয়ে তা কাজে লাগাতে ব্যস্ত থাকে। বিরোধী দলনেতা গুলাব চাঁদ কাটারিয়া বলেন, বাজেটের কপি তারাবন্ধ ও অর্থমন্ত্রীর কাছে রয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন বাজেটের দিন পিছিয়ে দেওয়া জুরুরি। কিন্তু তাতে সায় দেননি স্পিকার।

আরও পড়ুনঃ

অদম্য ইচ্ছেশক্তির জয়, বাধা কাটিয়ে রাশিয়া থেকে ডাক্তারি পড়ে ফিরল কৃষক পরিবারের ছেলে

টাইটানিক হিরো ডিক্যাপ্রিওকে অসমে আসার আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর, কারণ জানলে অবাক হবেন আপনিও

সুপ্রিম কোর্টের শূন্যপদ পুরণ, হাইকোর্টের ২ প্রধান বিচারপতি শীর্ষ আদালতের বিচারকের দায়িত্বে