সংক্ষিপ্ত
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পিভি আনোয়ারের বিধায়কের অভিযোগের ভিত্তিতে কোঝিকোড় ভেল্লাইল পুলিশ অনুসন্ধান করেছে।
রবিবার সকালে এশিয়ানেট নিউজের কোঝিকোড়ের আঞ্চলিক অফিসে তল্লাশি চালাল কেরালা পুলিশ। উল্লেখ্য গতকালই এশিয়নেট নিউজের কোচি অফিসে ঢুকে কার্যত তাণ্ডব চালাল প্রায় শখানেক এসএফআই সদস্য। এই ঘটনার পরের দিনই সংবাদ সংস্থার কোঝিকোড়ের আঞ্চলিক অফিসে চল্লাশি চালায় কেলারা পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পিভি আনোয়ারের বিধায়কের অভিযোগের ভিত্তিতে কোঝিকোড় ভেল্লাইল পুলিশ অনুসন্ধান করেছে। এদিন এশিয়ানেট নিউজের অফিসে এদিন তল্লাশির নেতৃত্বে ছিলেন সহকারী কমিশনার ভি সুরেশ। এশিয়ানেট নিউজের আঞ্চলিক প্রধান শাজাহান পি বলেছেন যে তাঁরা পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন। এদিন ভেল্লাইল সিআই বাবুরাজ, নাদাক্কাভ সিআই জিজেশ, টাউন এসআই ভিগিবিন, এএসআই দীপকুমার, সিপিও দীপু, অনীশ, সজিথা সি, সাইবার সেল অফিসার বিজিথ এল এ, থানাসিলদার সহ একটি দল সি. শ্রীকুমার এবং পুথিয়াংদী গ্রাম অফিসার এম.সাজন তল্লাশির জন্য সংবাদ সংস্থার অফিসে আসেন।
উল্লেখ্য, এশিয়ানেট নিউজের অফিসের এসএফআই-এর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করল প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া। শনিবার এশিয়ানেট নিউজের কোচি অফিসে ঢুকে কার্যত তাণ্ডব চালায় এসএফআই-এর সদস্যরা। এই ঘটনার পর থেকেই সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার অভিযোগে শোরগোল পড়ে যায় দেশজুড়ে। ঘটনার সমালোচনায় সরব হয় দেশের সংবাদমাধ্যমের একটি বড় অংশ। শনিবার বিকেলে এই মর্মে একটি অফিসিয়াল বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে। এই বিবৃতিতে সংবাদ সংস্থার অফিসে এসএফআই ছাত্রনেতাদের কর্মকাণ্ডের কড়া ভাষায় নিন্দে করা হয়। সেই বিবৃতিতে লেখা হয়,'আমরা আশা করছি কেরালা সরকার যারা এশিয়ানেটে হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।'
শনিবার এশিয়ানেট নিউজের কোচি অফিসে ঢুকে কার্যত তাণ্ডব চালাল প্রায় শখানেক এসএফআই সদস্য। অফিসের মধ্যে গায়ের জোর খাটিয়ে প্রবেশ করে দেওয়া হয় স্লোগান। যার মূল নিশানায় ছিল এশিয়ানেট নিউজ। কোচিতে এশিয়ানেট নিউজ সংস্থার দফতরে সদর গেটে উত্তেজিত এসএফআই কর্মী ও সমর্থকদের আটকানোর চেষ্টাও করেন নিরাপত্তাকর্মী। কিন্তু, তাকে প্রায় ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিয়েই অফিসের মধ্যে ঢুকে পড়ে এসএফআই-এর কর্মীরা।
এসএফআই ছাত্রনেতাদের হাতে ছিলে বিশাল ফেস্টুন। তাতে আবার এশিয়ানেট নিউজের লোগোতে লাল কালি-তে ক্রস দেওয়া। এসএফআই-এর উত্তেজিত ছাত্রনেতারা এশিয়ানেট নিউজের বিরুদ্ধে মিথ্যা খবর ছড়ানোর অভিযোগ আনে। যদিও, এই নিয়ে কোনও প্রমাণ তারা দেখাতে পারেনি। এসএফআই-এর কর্মী ও সমর্থকরা অফিসের মধ্যে ঢুকে চিৎকার করে স্লোগান দিতে থাকে। এমনকী অফিসে কর্মরত সাংবাদিকদেরও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ এসে অফিসে আটকে থাকা কর্মীদের উদ্ধার করে। কিন্তু এরপরও এসএফআই-এর কর্মী-সমর্থকরা থামেননি। পুলিশের সামনেই তারা স্লোগান দিতে থাকে।
পরে পুলিশ বিক্ষোভরত ছাত্রনেতাদের এশিয়ানেট নিউজের দফতর থেকে বের করে আনে। পালারিভাট্টাম পুলিশ থানায় এসএফআই ছাত্রদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন কোচির রেসিডেন্সিয়াল এডিটর অভিলাস জি নায়ার। পুলিশের কাছে দেওয়া অভিযোগপত্রে তিনি লেখেন বিক্ষোভের জেরে অফিসে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল এবং অভিযুক্তরা শুধু অফিসেই ঢোকেনি, সেই সঙ্গে গায়ের জোর প্রয়োগ করে অফিসের মধ্যে ঢুকে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। গোটা ঘটনাই নাড়া দিয়েছে দেশ জুড়ে সাংবাদিককুলকে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া এবং গায়ের খাটিয়ে যে সংবাদমাধ্যমের মুখ বন্ধ করা যায় না বলেও টুইটারে মন্ত্বব্য করে।
আরও পড়ুন -
দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আছে: এশিয়ানেট নিউজের অফিসে এসএফআই-এর হামলার বিরুদ্ধে সরব বিজেপি নেতা