সংক্ষিপ্ত

এশিয়ানেট নিউজ জানতে পেরেছে যে গোটা ঘটনার জন্য রীতিমত অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজনাথ। দ্রুত বিষয়টি মিটিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

উদাসীনতা ও বর্বরতার ছবি দুদিন আগে দেখেছিল গোটা দেশ। চিন সীমান্তে গালওয়ান উপত্যকায় দেশের হয়ে শহিদ হওয়া জওয়ানের পরিবারের সঙ্গে কীভাবে বর্বর আচরণ করেছিল বিহার পুলিশ, তা গোটা দেশের সামনে তুলে ধরেছিল এশিয়ানেট নিউজ। তারপরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। সাহায্যের হাত বাড়ায় ভারতীয় সেনা। এবার বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করলেন খোদ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। জানা গিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

এশিয়ানেট নিউজ জানতে পেরেছে যে গোটা ঘটনার জন্য রীতিমত অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজনাথ। দ্রুত বিষয়টি মিটিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি ঠিক কি ঘটেছিল তা তদন্ত করার জন্য একটি দল গঠন করেছেন তিনি। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে জানিয়েছেন এই ঘটনায় যাঁরা অভিযুক্ত তাঁরা যথাযথ শাস্তি পাবে।

আগের দিন, রাজ্য সরকারকে এই ইস্যুতে বিহার বিধানসভায় কোণঠাসা করে বিরোধীরা। এই ইস্যুতে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উল্লেখ্য ২০২০ সালে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চাইনিজ পিপলস লিবারেশন আর্মির সাথে সংঘর্ষের সময় শহিদ হন রাজকাপুর সিংয়ের ছেলে জয় কিশোর সিং।

সেই শহিদ জওয়ানের পরিবারও ছাড় পায়নি। জমিতে বাড়ির শহিদ ছেলের স্মৃতিসৌধ বানাতে চেয়েছিলেন তারা। সেই 'অন্যায়' দাবিকে মেনে নিতে পারেনি বিহার পুলিশ। জমি নিয়ে বিবাদের জেরে শহিদের বাবাকে টেনে হিঁচড়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই খবর প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল এশিয়ানেট নিউজের হাত ধরে। অবশেষে ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই মিলল ভালো খবর।

এশিয়ানেট নিউজের খবরের জেরে বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামের সেই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে ভারতীয় সেনা। সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই পরিবারের দাবি মেনে শহিদ জওয়ানের মূর্তি বসানো হবে। এই প্রেক্ষিতে ভারতীয় সেনার একটি টিম মঙ্গলবার দেখা করে ওই জওয়ানের পরিবারের সঙ্গে। কথা হয় দুপক্ষের। সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি সেনা দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, আড়াই বছর আগে, বিহারের বৈশালী জেলার রাজ কাপুর সিং গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনার সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিজের চার ছেলের একজনকে হারিয়েছিলেন। তখন গোটা দেশ তাঁর সঙ্গে শোক পালন করেছিল, তার ব্যথায় ব্যথিত হয়েছিল। জান্দাহ ব্লকের চকফতেহ গ্রামে সরকারি জমিতে তাঁর শহিদ ছেলের নামে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করতে গিয়ে জেলের ঘানি টানতে হয় সেই অসহায় বাবাকে।

২০২০ সালের ১৫ই জুন গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে নিহত জয় কিশোর সিংয়ের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন যে বিহার পুলিশ শহিদ সেনার বাবাকে তার বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে যায় এবং তাকে গালাগালি দেয়। তবে পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং জানিয়েছে যে তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনের অধীনে জান্দাহা থানায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগকারী, হরিনাথ রাম এবং রাজকাপুর সিংয়ের মধ্যে দুই বছর ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এশিয়ানেট নিউজ এই মর্মান্তিক ঘটনার গভীরে গিয়ে তুলে ধরে একটি বিশেষ রিপোর্ট।