সংক্ষিপ্ত

দেশীয় টিকার পক্ষেই সওয়াল 
রাহুল গান্ধীকে নিশানা অসমের বিজেপি নেতার 
হেমন্ত বিশ্বশর্মা একের পর এক বার্তা দেন 
তুলে ধরেন কংগ্রেসের টিকা কর্মসূচির ব্যর্থতা 

টিকা নিয়ে এবার রাহুল গান্ধীকে রীতিমত তুলোধনা করলেন অসমের বিজেপি নেতা তথা মন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্ম। কংগ্রেস দেশের টিকাকর্মসূচিতে তেমন সাফল্য অর্জন করতে পারেনি এমন অভিযোগ তোলার পাশাপাশি কংগ্রেস আমলে দেশীয় টিকার তুলনায় বিদেশি টিকা আমদানির ওপরেও বেশি জোর দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি হেমন্ত বিশ্বশর্মার অভিযোগ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রস্তুতের জন্য দেশীয় বিজ্ঞানীয়ে অভিনন্দন জানাননি রাহুল গান্ধী। উল্টে দেশীয় টিকা নিয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করেছেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। 

 করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রাহুল গান্ধী। কিন্তু গৃহবন্দি অবস্থায় তিনি ক্রমাগত কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে যাচ্ছেন। এদিন রাহুল গান্ধী ভ্যাকসিন ইস্যুতে আবারও আক্রমণ করেন মোদী সরকারকে। তিনি বলেন দেশের জনগণের টাকাতেই ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। কিন্তু তারপরেই ভারত সরকার দেশের মানুষকে বাধ্য করছে বিশ্বের অন্যান্য দেশের থেকে বেশি টাকায় ভ্যাকসিন কিনতে। আরও একবার প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে তাঁর বন্ধুদের পাশে দাঁড়ালেন। একই সঙ্গে তিনি একটি ছবি শেয়ার করেন। সেখানে বলা হয়েছে তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা থেকে ভারত বায়োটেককে ৬৫ কোটি টাকা অর্থ সাহায্য করা হয়েছে যা দিয়ে তৈরি হয়েছে কোভ্যাকসিন। এর আগে রাহুল সেরাম কর্তা আদার পুনাওয়ালেও মোদীর বন্ধু বলে কটাক্ষ করেছিলেন। 

তারই উত্তর দিয়েছেন অসমের বিজেপি নেতা হেমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি বলেন, প্রথমে দেশীয় ভ্যাকসিন নিয়ে রাহুল গান্ধী সমস্যা তৈরি করেছিলেন। দেশীয় ভ্যাকসিনের প্রতি কোনও আস্থা দেখাননি তিনি। বর্তমানে তিনি আবার ভ্যাকসিন নিয়ে সমস্যা তৈরি করছেন। তারপরই তিনি বলেন ভ্যাকসিন নিয়ে একাজীয় কার্যকলাপ কখনই শোভা পায় না। এটি মানুষের জীবনদায়ী উপাদান। এখানেই থেমে থাকেননি হেমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি পরপর কতগুলি টুইট করেন। সেখানে তিনি কংগ্রেস জমানার ভ্যাকসিন কর্মসূচি তুলে ধরে তুলোধনা করেন রাহুলকে। 


ভারতের তৈরি ভ্যাকসিন  রাহুল গান্ধী অপছন্দ করেন বলে অভিযোগ করে একের পর এক তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন ২০০৮ সালে তৎকালীন কংগ্রেস সরকার তিনটি টিকা প্রস্তুতকারক ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছিল। ২০১২ সালে সেগুলির খোলার জন্য সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়েছিল। ১৯৪৮ সাল থেকে কংগ্রেস দেশে টিকাকরণ কর্মসূচি চালাচ্ছে। কিন্তু তাতে টিবির মত দুরারোগ্য ব্যাধি দূরকরতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে মোদী সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ২০২৫ সালের মধ্যেই ভারতকে যক্ষ্মামুক্ত দেশ তৈরি করবে। তারপরেই তাঁর অভিযোগ, ভারত বায়োটেক এনসেফালাইটিসের জন্য কার্যকর এমন টিকা তৈরি করেছিল। কিন্তু তৎকালীন ইউপিএ সরকার সেই একই টিকা চিন থেকে আমদানি করত। নরেন্দ্র মোদী প্রথম থেকেই বিদেশী টিকার বদলে আস্থ রাখেন দেশীয় টিকার ওপরে। তিনি রটাভাইরাস, এনসেফালাইটিস ও রুবেলার জন্য দেশীয় টিকা ব্যবহারের ওপর জোর দেন বলেও জানিয়েছেন হেমন্ত বিশ্বশর্মা।