সংক্ষিপ্ত

আগের বারের থেকে এবারে ১৬ শতাংশ বুথের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সহজ ভাবে দেখতে গেলে কোভিডের কারণেই প্রতি বুথে কমছে ভোটার। আসন্ন নির্বাচনে প্রতি বুথে ১৫০০-র বদলে ১২৫০ জন করে ভোটার থাকবে বলে জানা যাচ্ছে।

দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে অবশেষে কোভিড আতঙ্কের(Covid panic) কথা মাথায় রেখেই ৫ রাজ্যের নির্বাচনী নির্ঘণ্ট(5 State Election Schedule) ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন(Election Commission)। ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে তা শেষ হবে ৭ মার্চ। এদিকে এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশে মোট ৭ দাফায় হবে ভোট গ্রহণ। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশ(Uttar Pradesh) বাদে একমাত্র মণিপুরে হবে দু-দফায় ভোট। বাকি তিন তিন রাজ্যে একদফাতেই হবে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া। এদিকে করোনা আবহে ভোট নিয়ে ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। জারি করা হয়েছে নতুন গাইডলাইন(Corona Guideline)। আগের বারের থেকে এবারে ১৬ শতাংশ বুথের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সহজ ভাবে দেখতে গেলে কোভিডের কারণেই প্রতি বুথে কমছে ভোটার।

এবারের ভোটে প্রতি বুথে ১৫০০-র বদলে ১২৫০ জন করে ভোটার থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে পঞ্জাবে বর্তমানে ৮৮ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার ১টি করে ডোজ ও ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ দুটি করে ডোজ পেয়ে গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। একইভাবে অন্যান্য রাজ্যের টিকাকরণ চিত্রের কথা মাথায় রেখেই বাকি বিষয়গুলির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে কমিশনের তরফে। অন্যদিকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও সাইকেল ব়্যালি, পদযাত্রা, মোটরবাইক মিছিল, রোড শো-এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে সশরীরে প্রচার না করার পরামর্শ দিয়েছেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার(Chief Election Commissioner)। প্রচারের জন্য বেশি করে ডিজিটাল, ভার্চুয়াল, মোবাইল মাধ্যম ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলিকে

আরও পড়ুন-কবে ভোট হচ্ছে মণিপুরে, দু-দফায় নির্বাচনী নির্ঘন্ট প্রকাশ কমিশনের

একইঙ্গে নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞায় স্পষ্টতই জানানো হয়েছে রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত কোনও ধরনের প্রচার, মিছিল করা যাবে না। বলবৎ থাকবে নাইট কারফিউ। এমনকী বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের ক্ষেত্রে ৫ জনের বেশি রাজনৈতিক কর্মী যেতে পারবেন না বলে কমিশনের তরফে সাফ জানানো হয়েছে। সমস্ত ইন্ডোর ও আউটডোর মিটিং-এই নিয়ম মানতে হবে বলে জানানো হয়েছে। এমনকী ১০ মার্চ ভোট গণনার পর কোনোরকম বিজয় মিছিলে মাততে পারবে না কোনও রাজনৈতিক দলই। এমনকী নিয়ম লঙ্ঘন করলে নেওয়া হবে করা ব্যবস্থা। একইসাথে রাজনৈতিক দলগুলিকে মিটিং মিছিলে পর্যাপ্ত মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিলি করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন নির্ঘণ্ট প্রকাশের নির্দেশিকায় এমনটাই জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে।