সংক্ষিপ্ত

এক ব্যক্তির সঙ্গে এরকমই ঘটেছে। তিনি এটিএম থেকে পাঁচশো টাকা তুলতে গিয়েছিলেন। পিন নম্বর দিয়ে টাকার পরিমাণ লিখে টাকা বেরোনোর অপেক্ষা করছিলেন। সেদিন ভাগ্য হয়ত একটু বেশিই ভালো ছিল তাঁর।

এটিএম থেকে প্রায়ই টাকা তোলেন তো? সেটাই স্বাভাবিক।ষ কিন্তু কখনও খেয়াল করে দেখেছেন কি, যে পরিমাণ টাকা আপনি এটিএম থেকে তুলতে গিয়েছিলেন, হাতে পেলেন তার তিনগুণ বেশি টাকা ? কেমন হবে ব্যাপারটা? অথচ আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে কাটল কিন্তু সেই টাকার পরিমাণটাই, যেটা আপনি চেয়েছিলেন। পুরো জমে ক্ষীর তো ব্যাপারটা! তাই না? কিন্তু গোটা ব্যাপারটা কেমন স্বপ্নের মতো ঠেকছে। প্রশ্ন উঠতেই পারে, এরকম আবার হয় নাকি! 

না, সচরাচর এরকমটা ঘটে না বইকি। কিন্তু এক ব্যক্তির সঙ্গে এরকমই ঘটেছে। তিনি এটিএম থেকে পাঁচশো টাকা তুলতে গিয়েছিলেন। পিন নম্বর দিয়ে টাকার পরিমাণ লিখে টাকা বেরোনোর অপেক্ষা করছিলেন। সেদিন ভাগ্য হয়ত একটু বেশিই ভালো ছিল তাঁর। টাকার মেশিন থেকে বেরিয়ে এল কড়কড়ে পাঁচটা পাঁচশো টাকার নোট। মানে ওই ব্যক্তি হাতে পেয়ে গেলেন আড়াই হাজার টাকা!

মহারাষ্ট্রের নাগপুর জেলায় এমনই আজব অথচ মজার ঘটনা ঘটেছে। ওই ব্যক্তি ফের ৫০০ টাকার নোট তুলতে যান এটিএম থেকে। ফের ২৫০০ টাকা বের হয়। বুধবার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএমে এই অপ্রত্যাশিত ঘটনার মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। নাগপুরের খাপাড়খেড়া টাউনের একটি এটিএমে এমন কান্ড ঘটতে দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে যান এলাকার মানুষ। উল্লেখ্য নাগপুর শহর থেকে এই এলাকার দূরত্ব মাত্র তিরিশ কিমি। 

দাবানলের মতো এই খবর ছড়িয়ে পড়ে। দলে দলে মানুষ আসতে থাকেন ওই এটিএমে। সবাই টাকা তুলতে শুরু করেন। এটিএমের বাইরে লেগে যায় লম্বা লাইন। রীতিমত ভাইরাল হয়ে যায় গোটা ঘটনা। এরপর এক স্থানীয় বাসিন্দা লোকাল থানায় খবর দেন। পুলিশ দ্রুত সেখানে এসে এটিএমটি বন্ধ করে দেয়। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি জানানো হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ব্যাঙ্কের গাফিলতি নয়, কিছু যান্ত্রিক ত্রুটির জন্যই এই সমস্যা হয়েছে। 

ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয় ওই এটিএম থেকে মূলত ১০০ টাকার নোট বের হয়। সেখানে ভুল বশত ৫০০টাকার নোট রাখা হয়েছে। তাই ওই ব্যক্তি যখন ৫০০ টাকা চেয়েছিলেন তুলতে, পাঁচটা নোট বের হয়ে আসে। এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে এই ফাঁকতালে বেশ কয়েকজনের যে ভালোই মুনাফা হল, তা বলাই বাহুল্য।