সংক্ষিপ্ত
মিশনারিজ অফ চ্যারিটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ৩৪৭ জন বিদেশী ব্যক্তি ও ৫৯ জন প্রাতিষ্ঠানিক দাতার কাছ থেকে ৭৫ কোটিরও বেশি অনুদান পেয়েছে। মোট ব্যালেন্স দাঁড়িয়েছে ১০৩.৭৬ কোটি।
নোবেল জয়ী মাদার টেরেসা (Mother Teresa) প্রতিষ্ঠিত মিশনারিজ অফ চ্যারিটি(Missionaries of Charity) প্রতিষ্ঠানের অডিটে অসঙ্গতি ছিল। অডিটে গলদ থাকার কারণেই (Audit irregularities) মিশনারিজ অফ চ্যারিটির এফসিআরএ (FCRA ২০১০) রেজিস্ট্রেশন সম্ভব হয়নি। কেন্দ্রের তরফ থেকে এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন এই তথ্য। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছিল যে মিশনারিজ অফ চ্যারিটি (এমওসি) এর ফরেনার্স কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট (এফসিআরএ)-এর আওতায় রেজিস্ট্রেশন করানোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু অসঙ্গতি চোখে পড়ে।
বিদেশী তহবিল বা অনুদান পাওয়ার জন্য যেকোন এনজিও বা সমিতির ক্ষেত্রে এফসিআরএ রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক হল FCRA-এর পরিচালক। এনজিওগুলির পরিদর্শন এবং অডিট পরিচালনা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, যাতে অডিটে যাবতীয় তথ্য সুষ্ঠুভাবে রাখা হচ্ছে কিনা, তা নিশ্চিত করা যায়। ১৩ ডিসেম্বর মিশনারিজ অফ চ্যারিটির জমা করা সর্বশেষ বার্ষিক আর্থিক রিটার্নটি ৭৬ পৃষ্ঠার। এতে ১৯৫০ সালে মাদার টেরেসা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থার অনুদান এবং ব্যয়ের বিশদ বিবরণ ছিল।
২০১৫ সালে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এফসিআরএ নিয়মগুলি সংশোধন করে। সংশোধনীতে বলা হয়, এনজিওগুলিকে ত্রৈমাসিক রিটার্ন দাখিল করতে বাধ্য থাকবে। এছাড়াও বিদেশী তহবিলের গ্রহণযোগ্যতা যাতে কোনওভাবেই ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতাকে ক্ষতি না করে, তা মেনে চলতে হবে। বিদেশী রাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককেও যেন প্রভাবিত না করে।
মিশনারিজ অফ চ্যারিটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ৩৪৭ জন বিদেশী ব্যক্তি ও ৫৯ জন প্রাতিষ্ঠানিক দাতার কাছ থেকে ৭৫ কোটিরও বেশি অনুদান পেয়েছে এবং মোট ব্যালেন্স দাঁড়িয়েছে ১০৩.৭৬ কোটি। বিদেশী তহবিল ব্যবহার করার জন্য এই সংস্থার সারা দেশে ২৫০টিরও বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
এদিকে, এর আগে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় তারা মিশনারিজ অফ চ্যারিটি বা এমওসির কোনও অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেনি বা বন্ধ করেনি। বরং এমওসির পক্ষ থেকে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে তাঁদের এই অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। সোমবার এক টুইট বার্তায় এমনই তথ্য দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আরও জানিয়েছে ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট বা FCRA ২০১০ ও ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন রুলস বা FCRR, ২০১১ আওতাধীন কয়েকটি নিয়ম বা শর্ত পূরণ না করতে পারায় এই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। ২৫ ডিসেম্বর মিশনারিজ অফ চ্যারিটিকে বিষয়টি জানানো হয়। MoC-এর FCRA রেজিস্ট্রেশন পুনর্নবীকরণের জন্য কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্টের শর্ত পূরণ হয়নি বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।