সংক্ষিপ্ত
অযোধ্য়ার গুরুত্বপূর্ণ রাম পথে ধস নেমেছে। স্থানীয় বিদ্যা মন্দির স্কুল থেকে জেলা হাসপাতাব পর্যন্ত রাস্তার একটি বড় অংশে ধস নামে।
প্রবল বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল অযোধ্যা রাম মন্দির। ছাদ দিয়ে চুঁইয়ে চুঁইয়ে জল পড়ছিল। যার কারণে গর্ভগৃহে জল জমে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও দুর্যোগ কাটছে না অযোধ্যার রাম মন্দির থেকে। এবার ধস নেমেছে গুরুত্বপূর্ণ রাম পথে। অযোধ্যায় শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের উদ্বোধনের পর কেটে গেছে প্রায় ৬ মাস। এই দিন সকাল থেকেই অযোধ্যায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। সকাল থেকে ঘনঘন বাজ পড়েছিল। যার কারণে ধর্মীয় শহর অযোধ্যা অবস্থাও বেশ শোচনীয় হয়ে পড়ে। প্রবল বৃষ্টির কারণে অযোধ্যার রাম পথের একটি বড় অংশজুড়ে ধস নামে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে অযোধ্য়ার গুরুত্বপূর্ণ রাম পথে ধস নেমেছে। স্থানীয় বিদ্যা মন্দির স্কুল থেকে জেলা হাসপাতাব পর্যন্ত রাস্তার একটি বড় অংশে ধস নামে। যার কারণে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা মেরামতি করার জন্য JCB মোতায়েন করা হয়েছে।
রাস্তার পাশাপাশি প্রবল বৃষ্টির কারণে বিদ্যা মন্দির স্কুলে একটি গাছ পড়ে যায়। যার কারণে এলাকায় জল জমে যায়। পিডাব্লুডি অফিস ও জেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালেও জল জমে যায়। টানা দ্বিতীয় দিনের বৃষ্টিতে অযোধ্যা শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায় জল যায়। সিভিল লাইনের পুলিশ লাইন এলাকায় ড্রেনের পানি প্লাবিত হওয়ায় এবং রিদগঞ্জ-গুলাবাড়ির আশেপাশের বাড়িঘরে প্রবেশ করায় লাখ লাখ টাকার যথেষ্ট আর্থিক ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
কয়েক দিন আগেই রাম মন্দিরের ছাদ চুঁইয়ে চুঁইয়ে জল পড়ছিল রাম মন্দিরে নির্মাণ কাজ চলছে। প্রধান পুরোহিত বলেছেন, এভাবে বৃষ্টির জল দমা হলে ২০২৫ সালের জুলাইয়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়া অসম্ভব। পাশাপাশি তিনি গোটা ঘটনার তদন্তও জানিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, বছরের প্রথম বৃষ্টির পরই যেখানে রামলালার মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল সেখেনা জল পড়তে শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, মন্দিরের পরিকাঠামোতে কী কী সমস্যা রয়েছে তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি আরও বলেন, দ্রুত সমস্যা সমাধান না হলে, যখন প্রবল বৃষ্টি হবে তখন পুজো করাই কঠিন হয়ে যাবে। যদিও মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান শ্রী নৃপেন্দ্র মিশ্র। যদিও মন্দিরের পুরোহিত অন্যদের কথায় মন্দিরের ছাদ ফুটো হতে শুরু করেছে। আর মন্দির নির্মাণর নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কিন্তু নৃপেন মিশ্র বলেছেন, এই বিষয় নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই।