সংক্ষিপ্ত
বাবা রামদেব শুক্রবার থানে আয়োজিত একটি যোগ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। মহিলাদের জন্য এই যোগ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। এখানে মহিলারা যোগের পোশাক পরে এবং অনুষ্ঠানের পরে সাধারণ সভায় যোগ দেওয়ার জন্য শাড়ি নিয়ে আসে।
নিজের বক্তব্য নিয়ে প্রায়ই আলোচনায় থাকা যোগগুরু বাবা রামদেব এবার মহিলাদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে পড়লেন। বাবা রামদেব মহারাষ্ট্রের থানে যোগ অনুষ্ঠান চলাকালীন মহিলাদের প্রশংসা করছিলেন, কিন্তু এখানে আচমকাই মুখ ফসকে কিছু এমন কথা বলে ফেলেন রামদেব, যাতে নিজেই বিতর্কে পড়ে যান তিনি। তিনি এমন কিছু বলেছিলেন যা মহিলাদের জন্য অশোভন। এ নিয়ে মহিলারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এই সময় বাবার সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসের স্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের ছেলে এবং সাংসদ শ্রীকান্ত শিন্ডে। তা সত্ত্বেও বাবা রামদেব তার সুরে আপত্তিকর মন্তব্য করতে থাকেন।
মহিলাদের জন্য যোগ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়
আসলে, বাবা রামদেব শুক্রবার থানে আয়োজিত একটি যোগ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। মহিলাদের জন্য এই যোগ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। এখানে মহিলারা যোগের পোশাক পরে এবং অনুষ্ঠানের পরে সাধারণ সভায় যোগ দেওয়ার জন্য শাড়ি নিয়ে আসে। সকালে যোগ বিজ্ঞান শিবিরের আয়োজন করা হয়। এরপর মহিলাদের যোগব্যায়াম প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এর পরপরই নারীদের সাধারণ সভা শুরু হয়।
শাড়ি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য
ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীর প্রশংসা করতে গিয়ে বাবা রামদেব সাধারণ সভায় বলেছিলেন যে 'আপনাদের সবাইকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে'। এর পর বাবা বললেন, সামনের মহিলারা শাড়ি পরেছে, তারা শাড়ি পরার সুযোগ পেয়েছে। পিছনের মহিলারা শাড়ি পরার সময় না পেলেও কিছু যায় আসে না, আপনি বাড়িতে গিয়ে শাড়ি পরুন'। বাবা রামদেব মহিলাদের প্রশংসা করে বলেছিলেন যে মহিলাদের শাড়িতে ভাল দেখায়, তাদের সালোয়ার স্যুটে ভাল দেখায় এবং আমার মতো তারা কিছু না পরেও সুন্দর দেখায়।" বাবার এই বক্তব্যে মহিলারা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বাবার এই বক্তব্যের ভিডিওটিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এর আগে তেলের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে রামদেব বলেছিলেন, বিজেপি ক্ষমতায় আসলে তেলের দাম কমে যাবে। আর এবার যখন তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তখন তিনি পাল্টা দেশবাসীকে কঠোর পরিশ্রম করার পরামর্শ দেন। বলেন, "দেশ চালাতে সরকারকে কর সংগ্রহ করতে হবে। একজন সন্ন্যাসী হয়ে যখন আমি ১৮ ঘণ্টা কাজ করতে পারি, তাহলে দেশের সব মানুষকেই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। একমাত্র তার মাধ্যমেই এই মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে তাঁরা মোকাবিলা করতে পারবেন।"