সংক্ষিপ্ত
- বাবরি সমজিদ মামলার রায়ে স্বস্তি গেরুয়া শিবির
- রায়ের ৫টি গুরুত্বপূর্ণ অংশ রয়েছে
- সিবিআই বিশেষ আদালতের রায়
প্রায় তিন দশক পর সিবিআই-এর বিশেষ আদালত বাবরি মসজিদ মামলার রায় ঘোষণা করেছে। বুধবার এই ঐতিহাসিক মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি সুরেন্দ্রনাথ যাদব। এই মামলা ৩২ জন অভিযুক্ত বেকসুর খালাস পেয়েছেন। কী কারণে তাঁরা খালাস পেয়েছেন?
আদালত জানিয়েছেঃ
বাবরি মসজিদ ধ্বংস পূর্বপরিকল্পিত ছিল না
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ ছিল না
সিবিআই অডিও আর ভিডিও সত্যতা প্রমাণ করতে পারেনি
সমাজবিরোধীরা মসজিদটি ভেঙেছিল কিন্তু উপস্থিত নেতারা তাদের সেই কাজে বাধা দিয়েছিল
বক্তৃতার যে অডিও দেওয়া হয়েছে তা পরিষ্কার নয়
১৯৯৬ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছিল। বর্ষিয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবানি, মুরলীমনোহর জোশী, কল্যাণ সিং, উমা ভারতীসহ ৩২ জন অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাস করে দিয়েছে আদালত। এদিন রায়দানের সময় অভিযুক্তদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বয়সজনিত আর অসুস্থতার কারণে ছাড় দেওয়া হয়েছিল লালকৃষ্ণ আডবাণীসহ ৬ জনকে। তাঁরা অবশ্য ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যেই রায়দান পর্বে অংশ নিয়েছিলেন। ২ হাজার পাতার রায়দানে বলা মসজিদ ধ্বংসের পিছনে কোনওঅপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ছিল না।
বাবরি সমজিদ মমলার রায়দানের পর অনেকটাই স্বাস্তি পেলেন ৯২ বছরের লালকৃষ্ণ আডবাণী। জয়শ্রী রাম ধ্বনী তুলেই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন এই রায় তাঁর আর তাঁর সঙ্গীদের কাছে খুশির খবর। বাবরি সমজিদ মামলার রায়ে খুশির হাওয়া গেরুয়া শিবিরে। তবে এই রায়ের বিরোধিতা করে রাজনীতির আসরে নেমেছে বিরোধীরা।