সংক্ষিপ্ত
বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ভারতের সীমান্ত পার হয়ে মন্দির নির্মাণ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছে। এই ঘটনা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
মহম্মদ ইউনুসের আমলে বাংলাদেশ ছিটেফোঁটাও শালীনতা বজায় রাখতে পারেনি। লাজলজ্জা সবকিছুই বিসর্জন দিয়েছে। বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে যখন একের এক প্রশ্ন উঠছে তখনই ভারতীয় সীমান্তে অনুপ্রবেশ করতেও পিছপা হচ্ছে না বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। অসমের শ্রীভূমি জেলায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত মন্দির পুনর্নির্মাণে সীমান্ত পেরিয়ে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাংলাদেশের এই সেনা জওয়ানদের বিরুদ্ধে। যদিও গোটা বিষয়টি কঠোরভাবে মোকাবিলা করছে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ভারতের সীমান্ত পার হয়ে মন্দির নির্মাণ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছে। এই ঘটনা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভারত এই ঘটনার কড়া প্রতিক্রিয়া জনিয়েছে। বাংলাদেশের জওয়ানদের কথায় মন্দির ইসলামবিরোধী। তাই তা নির্মাণে বাধা দেওয়া হয়েছে।
অসমের কুশিয়ারা নদীর তীরে ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় স্থান মনসা মন্দির। আসম সরকার মন্দির তৈরির জন্য ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। অসম সরকারের তৎপরতায় মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
২০২৪ সালে ৫ ডিসেম্বর বিজিবি জাকিংগঞ্জ সীমন্ত চৌকি থেকে দ্রুতগামী স্পিডবোট ভারতীয় সীমানায় প্রবেশ করে। মন্দির নির্মাণ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। বিজিবি দাবি করে মন্দিরটি বাংলাদেশি মুসলিমদের অনুভূমিততে আঘাত করতে পারে। আর সেই কারণে মন্দির নির্মাণ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মসজিদ থেকে নামাজ শেষে মন্দির দেখা হারাম আর সেই কারণেই মন্দির নির্মাণে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
এই ঘটনার পরই কড়া পদক্ষেপ করে ভারত। ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয় কোনও ভাবেই মন্দির নির্মাণের কাজ বন্ধ করা হবে না। ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রবেশ ও নাগরিকদের হুমকি দেওয়ার অধিকার বাংলাদেশের জওয়ানদেরেই। যদিও বিএসএফএর এই দৃঢ় অবস্থানে পিছু হটতে শুরু করে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।