সংক্ষিপ্ত

 বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আপত্তিকর মন্তব্য এড়াতে ভারত সরকারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অমিত শাহ ঝাড়খন্ড থেকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বহিষ্কারের কথা বলেছিলেন, যা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া হয়েছে।

বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশের জনগণকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য এড়াতে ভারত সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ। একটি নির্বাচনী সমাবেশের সময়, অমিত শাহ ঝাড়খন্ড থেকে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের বহিষ্কারের কথা বলেছিলেন, যার প্রতি মুহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার তীব্র বিরোধিতা প্রকাশ করেছে। সোমবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবাদপত্র জমা দিয়েছে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক।

চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশ বলেছে, প্রতিবেশী দেশের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের এই ধরনের বক্তব্য দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের পারস্পরিক বোঝাপড়া ও শ্রদ্ধাবোধকে দুর্বল করে। আসলে, শুক্রবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জেএমএম নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ভোটব্যাংকের রাজনীতির জন্য এই লোকেরা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন, তাদের বন্ধ করা না হলে আগামী ২৫-৩০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যাবে।

বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়ে কী বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

বোকারোতে আয়োজিত এক নির্বাচনী সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের কোনও জায়গা নেই। তারা আমাদের মেয়েদের বিয়ে দিয়ে আমাদের জমি দখল করছে। এর পাশাপাশি তারা ধ্বংস করছে সমৃদ্ধ আদিবাসী সংস্কৃতি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে এই মানুষই সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে। কংগ্রেস এবং হেমন্ত সোরেন তাদের বাধা দেবে না, কারণ এই লোকেরা ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করে। আমাদের একবার ক্ষমতা দিন, আমরা সব অনুপ্রবেশকারীদের তাড়িয়ে দেব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন যে সাঁওতাল পরগনা বিভাগে আদিবাসী জনসংখ্যা ৪৪ শতাংশ থেকে ২৮শতাংশে নেমে এসেছে।

ভারতে ২ কোটি অবৈধ বাংলাদেশি

প্রকৃতপক্ষে, ভারতের অনেক রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে, তাই ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ দীর্ঘদিন ধরে একটি রাজনৈতিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতের অভ্যন্তরে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সংখ্যা নিয়ে প্রায়ই বিতর্ক হয়েছে। ২০১৬ সালে, তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা সম্পর্কে পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, 'প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ২ কোটি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ভারতের অভ্যন্তরে বসবাস করছে।'