সংক্ষিপ্ত
কেন্দ্র-রাজ্য বিতর্ক অতীত। দুই বছর পরে দিল্লির কুচকাওয়াজে বাংলার ট্যাবলো থাকছে। বাংলার দুর্গাপুজোই হবে মূল আকর্ষণ।
টানা দুই বছর পর প্রজাতন্ত্র দিবসে কর্তব্যপথে দেখা যাবে এই রাজ্যের ট্যাবলো। ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা উদযাপন করতে সাধারণতন্ত্র দিবসের ট্যাবলোতে দুর্গাপুজোকেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যে নারীর ক্ষমতায়নের কথাও তুলে ধরা হবে। রাজ্যের শিল্প ও সংস্কৃতিতেও তুলে ধরা হবে ২৬ জানুয়ারির ট্যাবলোতে। এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন রাজ্যের শিল্প সংস্কৃতি প্রদর্শনের জন্য পোড়ামাটির কাজ থাকবে দূর্গা মুর্তির সঙ্গে লক্ষ্মী, কার্তিক , গণেশ ও সরস্বতী ও তাদের বাহনদেরও মূর্তি থাকবে। ট্যাবলোর সঙ্গে জড়িত এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, দেবী দুর্গাই নারীর ক্ষমতায়নের প্রতীক। সেইভাবেই তৈরি করা হয়েছে ট্যাবলো।
এবার ২৬ জানুয়ারির কুচকাওয়াজে ১৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের ৬টি মন্ত্রক থেকে ২৩টি ট্যাবলো অংশ নেবে। ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য , অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির চিহ্ন হিসেবেই সেগুলি প্রদর্শিত হবে। পাশাপাশি নারী ক্ষমতায়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। কারণ এবার কুচকাওয়াজের থিম হল নারীর ক্ষমতায়ন।
২০২২ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা না মানায় প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বাতিল হয়ে গিয়েছিল রাজ্যের ট্যাবলো। কারণ সেই সময় রাজ্য সরকার প্রস্তব দিয়েছিল, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও তার ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে ট্যাবলোতে। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল নেতাজির ১২৫ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই নিয়ে কেন্দ্রের পক্ষ থেকেই একটি বিশেষ ট্যাবলো থাকছে। কিন্তু নিজের জেদে অনড় থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পর্যন্ত চিঠি লিখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাইহোক তাও রাজ্যের ট্যাবলো সেবার স্থান পায়নি দিল্লির কুচকাওয়াজে। এবার তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, 'এবারের দুর্গাপুজোয় কেন্দ্র অনুমতি বন্ধ বাতিল করতে পারেনি। ' কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে তারা খুশি বলেও জানিয়েছেন।
গত বছরের মত এবারই সাধারণতন্ত্র দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়ে গেছে এই দিন অর্থাৎ ২৩ জানুয়ারি থেকে। আগেই কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছিল নেতাজির জন্মদিনে পারাক্রম দিবেসব হিসেবে পালন করা হবে। এই অনুষ্ঠান চলবে আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে। সেই দিন কর্তব্যপথে বিটিং রিট্রিট ও শহিদ দিবস পালনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এই কর্মসূচি।
এবার প্রজাতন্ত্র দিসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে আসছেন মিশনেপ রাষ্ট্রপতি আব্দেল ফতেহ আল সিসি। মিশর বাহিনীর ১২০ জন সদস্য কুচকাওয়াজে অংশ নেবে। সূ্ত্রের খবর এবার কুচকাওয়াজে ৫০টি বিমান ও হেলিকপ্টারের ফ্লাইপাস্ট হবে। কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রকল্পে নিযুক্ত শ্রমিকরা। যাদের নাম রাখা হয়েছে শ্রমযোগী।
আরও পড়ুনঃ
'জনপ্রিয়তার জন্যই দ্বীপের নাম পরিবর্তন', রেডরোড থেকে মমতার নিশানা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে
NetajiSubhash Chandra Bose: এখনও বাঙালির স্বপ্নের নায়ক নেতাজি, জন্মদিনে দেখুন তাঁর ১০টি ছবি
বিমান সেবিকার মৃত্যু ঘিরে উঠছে প্রশ্ন, মানসিক অবসাদ থেকে আত্মহত্যা না খুন - উত্তর খুঁজছে পুলিশ