সংক্ষিপ্ত

কলকাতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হল বিমানসেবিকার রক্তাক্ত দেহ। খুন না আত্মহত্যা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে মহিলা মানসিক অবসাদে ভুগছেন বলেও অনুমান তদন্তকারীদের।

কলকাতায় বিমান সেবিকার মৃত্যু ঘিরে ক্রমশই রহস্য দানা বাঁধছে। ২৭ বছরের দেবপ্রিয়া বিশ্বাসের নিথর দেহ উদ্ধার হয়েছে বাড়ি থেকে। বিমান সেবিকার দেহ ছিল রক্তাক্ত, হাতের মুঠোয় তখনও শক্ত করে ধরা ছিল চাবির গোছা। ইতিমধ্যেই বিমান সেবিকার মৃত্যু রহস্যের জট খুলতে তদন্তে নেমেছে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ। দেবপ্রিয়ার সোশ্যাল মিডিয়ার সূত্র ধরেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। দেবপ্রিয়া কাতার এয়ারলাইন্সে চাকরি করতেন। বলে বর্তমানে তিনি ছিলেন বেকার। কাজ গিয়েছিল না চাকরি ছেড়েছিলেন সেই প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই।

দেবপ্রিয়া মৃত্যু ঘিরে প্রশ্ন

দেবপ্রিয়ার মৃত্যু ঘিরে প্রথম যে প্রশ্নটা উঠছে তা হল খুন না আত্মহত্যা। যদিও পুলিশের অনুমান বিমান সেবিকা আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু তারপরেও যে প্রশ্নগুলি ওঠে তা হল- কী কারণে আত্মহত্যা? তদন্তকারীদের একাংশের মতে দেবপ্রিয়া মাসনিক অবসাদে ভুগছিলেন। আর মাসনিক অবদাস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তিনি শরীরচর্চা শুরু করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর জিমে যাওয়ার ছবিও তিনি আপ করেছেন। তদন্তকারীদের অনুমান চাকরি হারিয়ে তিনি মানসিক অবদাসে ভুগছিলেন। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, মৃত্যু আগে কি দেবপ্রিয়া নেশাগ্রস্ত ছিলেন? তারও উত্তর খুঁজছে পুলিশ। যদিও পুলিশ খতিয়ে দেখছে দেবপ্রিয়াকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল কিনা, তার শরীরে আঘাতের চিহ্নি রয়েছে কিনা।

দেবপ্রিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া

দেবপ্রিয়ার সোশ্যাল মিডিয়ায় বলছে দেবপ্রিয়া ১৫ সেপ্টেম্বরের পর কলকাতায় ফিরেছিলেন। সেই সময়ই তিনি বিমানের চাকরিকে সাময়িক বিদায় জানিয়েছিলেন। কিন্তু আশা প্রকাশ করেছিলেন আবার থেকে আকাশে উড়বেন। কিন্তু তাঁর এই আশা আর পুরণ হল না। মাত্র পাঁচ মাসেই মৃত্যু স্তব্ধ করে দিল তাঁর জীবন। দেবপ্রিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বেশ সক্রিয় ছিল। কিন্তু গত এক মাস তিনি সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও কিছুটা দূরত্ব তৈরি করেছিলেন। তাঁর শেষ পোস্ট মৃত্যুর ঠিক এক মাস আগে। তিনি তাঁকে সেখানে শরীর চর্চা করতে দেখা গিয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান মেদ ঝরিয়ে তিনি আবার বিমান সেবিকা হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তবে আগে তাঁর পরিবারের সঙ্গে অনেক ফোটো দেখা গিয়েছিল। তাতে তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান হাসিখুশি মেয়েই ছিলেন দেবপ্রিয়া।

দেবপ্রিয়া ঠিকানা নিয়ে ধোঁয়াশা

দেবপ্রিয়া প্রোফাইলে লেখা রয়েছে তিনি দোহার বাসিন্দা। কিন্তু কাতার এয়ারলাইন্সের চাকরি ছাড়ার পর তাঁর স্থায়ী ঠিকানা কী - তারও উত্তর এখনও মেলেনি। দেবপ্রিয়ার মানসিক অবসাদের কারণ খুঁজে বার করতে পারলে অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুনঃ

সিনেমা নিয়ে অযোথা মন্তব্য নয়, মোদীর এই নির্দেশকে স্বাগত জানালেন অক্ষয় কুমার

ISF: নওশাদ সিদ্দিকী-সহ ১৮ জনের জামিনের আবেদন খারিজ, ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ

শনিদেবের গোচরে তৈরি হবে রাজযোগ, তাতে লটারির টাকা পেতে পারেন এই রাশির জাতক ও জাতিকারা