সংক্ষিপ্ত

পুলিশ জানিয়েছে, দুজনে কিছুদিন ধরে একসঙ্গে বসবাস করছিলেন, কিন্তু সম্প্রতি তাদের মধ্যে মতপার্থক্য হয়েছে। বেশ কথা কাটাকাটি হয় তাদের মধ্যে, তবে এর জেরেই খুন কীনা তা বোঝা যায়নি।

প্রাক্তন প্রেমিকাকে প্রথমে খুন, তারপর তাকে আত্মহত্যার রূপ দেওয়ার চেষ্টা। বেঙ্গালুরুর জীবন ভীমা নগরের এই ঘটনায় এখন বেঙ্গালুরু পুলিশ দিল্লির একজন ব্যক্তির সন্ধান শুরু করেছে। শুরু হয়েছে চিরুণি তল্লাশি। পুলিশের ধারণা এখনও আততায়ী বেঙ্গালুরু শহর ছেড়ে যায়নি। ওই ব্যক্তির নাম অর্পিত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। যে তরুণীকে খুন করা হয়েছে সে তার প্রাক্তন প্রেমিকা। নাম আকাঙ্খা বিদ্যাসার। ২৩ বছরের এই তরুণী হায়দরাবাদের বাসিন্দা ছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, দুজনে কিছুদিন ধরে একসঙ্গে বসবাস করছিলেন, কিন্তু সম্প্রতি তাদের মধ্যে মতপার্থক্য হয়েছে। বেশ কথা কাটাকাটি হয় তাদের মধ্যে, তবে এর জেরেই খুন কীনা তা বোঝা যায়নি। সম্পর্ক তিক্ত হয়ে যাওয়ার পরে তারা আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। সোমবার সন্ধ্যায়, দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয় ফের। সেই কথা কাটাকাটি গড়ায় হাতাহাতিতে। আকাঙ্খার আবাসনের সিসিটিভি পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে দুপুর তিনটে বেজে ১০ মিনিটে দুজনে আকাঙ্খার ফ্ল্যাটে ঢুকেছিল। পরে ৪টে ৫০ মিনিটে অর্পিত একাই ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে আসে। আবার দশ মিনিট পরে ফিরে এলেও খুব তাড়াতাড়ি ফের বেরিয়ে যায়। সেদিন বিকেল সাড়ে ছটা নাগাদ এই খুনের কথা জানা যায়। আকাঙ্খাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে পুলিশ জানিয়েছে।

আকাঙ্খার ফ্ল্যাটে অর্পিতের মোবাইল ও ব্যাগ পাওয়া গিয়েছে। মঙ্গলবার একটি বিবৃতিতে, অতিরিক্ত কমিশনার (পূর্ব) এম. চন্দ্রশেখর বলেন, আকাঙ্খা একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করত এবং পুলিশ তার বন্ধু অর্থাৎ অর্পিতের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ করছে। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ চারটি টিম গঠন করেছে।

তিনি বলেন, হত্যার পর অর্পিত এটিকে আত্মহত্যার মামলা হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করে। চন্দ্রশেখর বলেছিলেন যে অর্পিত তাকে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছিল। পুলিশ জানায়, দেহ ঝুলানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে অর্পিত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। রাতের শিফটের পর আকাঙ্খার আরেক রুমমেট আসার পর ঘটনাটি জানাজানি হয়। পুলিশ জানিয়েছে আরও পরীক্ষা ও তদন্ত চলছে। পুলিশ একটি কেস রেজিস্টার করে তদন্ত শুরু করেছে। আকাঙ্খার বাবা এই বিষয়ে মামলা করেন। তবে আকাঙ্খার পরিবার অর্পিতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা কিছু জানত না বলেই দাবি করেছে। ইতিমধ্যেই ইন্দিরানগরে স্যার সিভি রমন জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্তের পরে আকাঙ্খার দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।