সংক্ষিপ্ত
- চিট ফান্ড থেকে দেড় কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ
- চিট ফান্ড-এর পক্ষ নিয়ে ভুয়ো তথ্য অনুমোদনের অভিযোগ রয়েছে পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে
- ক'দিন আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল অ্যাসিস্ট্যান্ট ডেপুটি কমিশনারকে
- আর এবার গ্রেফতার হলেন বেঙ্গালুরুর ডেপুটি কমিশনার
বেঙ্গালুরুর আরবান ডেপুটি কমিশনার বিএম বিজয় শংকরকে গ্রেফতার করল স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিং টিম। অভিযোগ, ব্যঙ্গালুরুর আএমএ (আই মানিটরি অ্যাডভাইজারি) কেলেঙ্কারিতে সংস্থার তরফ থেকে মোটা টাকা ঘুষ নেওয়ার মতো জঘন্য অপরাধে সঙ্গে যুক্ত তিনি। সূত্রের খবর ওই চিটফান্ড সংস্থা থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
স্পেসাল ইনভেস্টিগেটিং টিম-এর তরফে জারি করা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আইএমএ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ মনসুর খান-এর পক্ষে একাধিক রিপোর্ট পেশ করেছেন ওই পুলিশ কর্তা। ওই চিটফান্ড কোম্পানীর বিরুদ্ধে যাবতীয় রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার এলসি নাগরাজ। এই পুরো রিপোর্টটি তিনি তৈরি করেছিলেন চিট ফান্ডের পক্ষে। এবং সেই ভুয়ো রিপোর্টটি পেশ করা হয়েছিল কর্নাটক সরকারের কাছে। ওই চিটফান্ড কোম্পানী থেকে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা নিয়ে কোম্পানীরর পক্ষে ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি করার জন্য গত শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছিল অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারকে।
ডেপুটি কমিশনার হিসাবা গোটা রিপোর্টটি খতিয়ে দেখে তবেই তা সরকারের কাছে পেশ করার দায়িত্ব ছিল বিএম বিজয় শংকর-এর ওপর। কিন্তু তিনি অ্য়াসিস্টেন্ট কমিশনারের তৈরি রিপোর্টটিকেই সরকারের কাছে পেশ করেন। স্পেসাল ইনভেস্টিগেটিং টিম-এর তরফে আরও জানানো হয় যে রিপোর্টটি ভাল করে খতিয়ে দেখে তা সরকারকে পেশ করলে গত মে মাসেই মহম্মদ মনসুর খানকে গ্রেফতার করা যেত। আর এই ভুয়ো রিপোর্ট অনুমোদনের জন্য চিটফান্জ সংস্থা থেকে দেড় কোটি টাকা ঘুষও নিয়েছিলেন তিনি। আর এই অভিযোগেই আজ সকালে ডেপুটি কমিশনারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাঁকে তলব করে স্পেসাল ইনভেস্টিগেটিং টিম। আর তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।