সংক্ষিপ্ত

বেঙ্গালুরুতে জল সংকট উদ্বেগজন পর্যায়ে পৌঁছেছে। টেকনোসিটির বাসিন্দারা গুরুতর সমস্যায় পড়েছেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জলও পাচ্ছে না অনেকে।

বেঙ্গালুরুতে জল সংকট উদ্বেগজন পর্যায়ে পৌঁছেছে। সিলিকনসিটির বাসিন্দারা গুরুতর সমস্যায় পড়েছেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জলও পাচ্ছে না অনেকে। এই অবস্থায় জল সংকট দূর করতে বিশেজ্ঞরা বেঙ্গালুরুর বেসরকারি সংস্থাগুলিকে ওয়ার্ক ফর্ম হোম বা ঘর থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি জলের অভাবের কারণে বাসিন্দাদের প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতেও নিষেধ করেছে। জলের সংকটের কারণে বেঙ্গালুরুতে সাধারণ মানুষদের পাশাপাশি সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরাও।

সংকটের প্রতিক্রিয়া হিসেবে বেঙ্গালুরু আইটি সংস্থাগুলিকে ইতিমধ্যেই অফিসে লোক কমাতে বলা হয়েছে। জল বিশেষজ্ঞ ও আইন উপদেষ্টারা এই বেঙ্গালুরুর আইটি সংস্থাগুলিকে অস্থায়ীভাবে আবারও ওয়ার্ক ফর্ম হোম-এ ফিরে যেতে পরামর্শ দিয়েছে। তাদের যুক্তি এই পন্থা অবলম্বন করলে শহরে লোকসংখ্যা কিছুটা হলেও কমবে। অনেক কর্মী বাড়ি ফিরে যাবে। শহরে জলের সাশ্রয় হবে।

কর্ণাটক এবং আসাম হাইকোর্টের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি, কে শ্রীধর রাও, এই পরামর্শকে সমর্থন করেছেন, জলের ঘাটতি সমস্যা মোকাবেলার সম্ভাব্যতা তুলে ধরেছেন। রাও জোর দিয়েছিলেন যে আইটি কর্মীদের তাদের নিজ শহর থেকে দূরবর্তীভাবে কাজ করার অনুমতি দিলে বেঙ্গালুরুর জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেতে পারে। শহরের আনুমানিক দেড় কোটি বাসিন্দা রয়েছে। যাদের অনেকেই অন্য শহর থেকে কাজের তাগিদে এসেছে। তারা যদি শহর ছেড়ে চলে যায় তাহলে জল সংকট কিছুটা হলেও মোকাবিলা করা যাবে অস্থায়ীভাবে।

জল সংকট মোকাবিলার কারণে হোলির উৎসবে জল অপচয় করা থেকে বিরত থাকার সতর্কতা জারি করেছিল। কিন্তু অনেক বাসিন্দারাই এই নির্দেশ উপেক্ষা করেছে। যা জলের সংকট আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

ভারতের সিলিকন ভ্যালি, বেঙ্গালুরুতে তীব্র জলের ঘাটতির মধ্যে, জল বিশেষজ্ঞ এবং আইনি কর্তৃপক্ষ শহরের বিশিষ্ট আইটি সেক্টরে দূরবর্তী কাজের দিকে অস্থায়ী স্থানান্তরের পক্ষে পরামর্শ দিচ্ছেন৷ এই সময়ই কর্ণাটক সরকার স্বীকার করে নিয়েছএ আনুমানিক প্রায় ৫০০ মিলিয়ন লিটার জলের ঘাটতি রয়েছে। আর সেই কারণেই আটি সংস্থাগুলিকে অবিলম্বেই তাদের কর্মীদের নিজের বাড়ি বসে কাজের নির্দেশ দেওয়ার জন্য চাপ তৈরি করা হচ্ছে।

কর্ণাটক ও অসম হাইকোর্টের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি কে শ্রীঘর রাও এই প্রস্তাব সমর্থন করেছেন। তিনি বলেছেন, এর একমাত্র লক্ষ্যই হলে বেঙ্গালুরুর জল সম্পদের ওপর চাপ কমানো। জল বিশেষজ্ঞ ও আইন বিশেষজ্ঞদের একটি প্রতিনিধি দল প্রস্তাব দিয়েছে আইটি কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজের ব্যবস্থা করা হোক। এর আগে ১৯৮০ সালে বেঙ্গালুরুতে এজাতীয় জলের সংকট দেখা গিয়েছিল। সেই সময় শহরের জনসংখ্যা ছিল ২৫-৩০লক্ষ। বর্তমানে শহরে প্রায় দেড় কোটি মানুষ বাস করে।