সংক্ষিপ্ত
- অযোধ্যার মসজিদ তৈরি করতে পাঁচ একর জমি নেওয়া হবে কিনা তা এখনও ঠিক হয়নি
- এর মধ্যেই কুরুক্ষেত্রে পাঁচ একর জমিতে ভারতমাতার মন্দির তৈরির ঘোষণা করা হল
- মনোহরলাল খট্টর জানিয়েছেন কুরুক্ষেত্রকে একটি ধর্মীয় কেন্দ্রে পরিণত করা হবে
- ভারতমাতার মন্দির ছাড়াও আরও বেশ কিছু মন্দির তৈরি হবে
মসজিদ তৈরি করতে অযোধ্যার পাঁচ একর জমি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড নেবে না ফিরিয়ে দেবে তা এখনও ঠিক হয়নি। এর মধ্যেই আরও এক মহাকাব্যে বর্ণিত এলাকা কুরুক্ষেত্রে, পাঁচ একর জমিতে ভারতমাতার মন্দির তৈরির ঘোষণা করলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা মনোহরলাল খট্টর। এদিন তিনি জানান জ্যোতিসর এবং ব্রহ্ম সরোবরের মাঝামাঝি এলাকায় কোথাও এই পাঁচ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে কুরুক্ষেত্রে বসেছে আন্তর্জাতিক গীতা মহোৎসব। সেই উৎসবে এসেই সাংবাদিকদের সামনে এই কথা ঘোষণা করলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী। তবে শুধু মন্দির নয় কুরুক্ষেত্রের সার্বিক পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করার কথা ভাবছে হরিয়ানার বিজেপি সরকার। 'ভারত মাতা মন্দির'-কে 'ভারত দর্শন' হিসেবে বৃহত্তর আকারে করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। মনোহরলাল খট্টর বলেছেন, কুরুক্ষেত্র আগামী কয়েক বছরে একটি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হয়ে উঠবে।
তীর্থযাত্রীদের যাতে কুরুক্ষেত্রে এসে থাকতে অসুবিধা না হয়, তার জন্য ভারতের ইচ্ছুক রাজ্যগুলিকে কুরুক্ষেত্রে ১০০০ থেকে ১৫০০০ স্কোয়ার মিটার করে জায়গা দেওয়া হবে রাজ্যের ভবন বানানোর জন্য। ভারতমাতা মন্দিরেস সঙ্গে সঙ্গে কুরুক্ষেত্রে গড়ে উঠবে জিও গীতা সংস্থানম, অক্ষরধাম মন্দির, ইস্কন মন্দির, জ্ঞান মন্দির-এর মতো আরো বেশ কিছু মন্দির।