সংক্ষিপ্ত

দিন কয়েক আগেই একটি ধর্ষণের চেষ্টা ও শ্লীলনাহানির মামলায় রায়দান করেছিলেন বিচারপতি অবিনাশ কুমার। সেখানে তিনি বলেছিলেন ২০ বছর বয়সী লালন কুমারকে মধুবনি জেলার মাধর গ্রামের প্রায় ২ হাজার মহিলার কাপড় আগামী ৬ মাস ধরে কেচে  দিতে হবে।

দিন কয়েক আগেই এক অভিনব নির্দেশ দিয়ে সংবাদ শিরোনামে এসেছিলেন বিহারে একটি আদালতের বিচারক (Bihar Judge)। কিন্তু বর্তমানে পাটনা হাইকোর্টের (Patna High Court) প্রশাসনিক আদেশে তিনি এখন কাজে যোগ দিতে পাচ্ছেন না। সূত্রের খবর মধুবনী জেলার ঝঞ্জরপুর মহকুমায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রাজজ হিসেবে কর্মরত ছিলেন বিচারক অবিনাশ কুমার। তাঁকে পাটনা আদালত জানিয়েছেন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়ার আদে পর্যন্ত তিনি কোনও বিচাপতির দায়িত্ব থেকে বিপরত থাকবেন। সূত্রের খবর বর্তমান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না তিনি। 

দিন কয়েক আগেই একটি ধর্ষণের চেষ্টা ও শ্লীলনাহানির মামলায় রায়দান করেছিলেন বিচারপতি অবিনাশ কুমার। সেখানে তিনি বলেছিলেন ২০ বছর বয়সী লালন কুমারকে মধুবনি জেলার মাধর গ্রামের প্রায় ২ হাজার মহিলার কাপড় আগামী ৬ মাস ধরে কেচে (Washing Cloths) দিতে হবে। আদালতের কথা বিনামূল্যে লন্ড্রি সেবা প্রদান করবে। প্রয়োজনীয় ডিটারজেন্ট, কাপড় কাচা সাবান বা অন্যান্য সামগ্রীও নিজের খরচে কিনতে হবে লালনকে। এই শর্তেই ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে পারে সে। ধোবা হিসেই জীবিকা নির্বহ করত লালন। তার পরবর্তী বিচারের জন্য কোনও তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। 

আলাপ করুন স্নেহা দুবের সঙ্গে, রাষ্ট্রসংঘে মহিলা আধিকারিক এক হাত নিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে

চিন পাকিস্তানের মোকাবিলায় বড় পদক্ষেপ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের, ১১৮টি 'নতুন' অর্জুন তৈরির বরাত

Modi-Biden Meet: মুম্বই হামলার অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান, দাবি যৌথ বিবৃতিতে

গত এপ্রিল মাসে গ্রামেরই এক মহিলাকে ধর্ষণ করার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে। স্থানীয় পুলিশ কর্তা সন্তোষ কুমার সিং জানিয়েছেন নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। গ্রামেরই মহিলা প্রধান নাসিমা খাতুন বলেন, আদালতের নির্দেশে খুশি গ্রামের মহিলারা। তিনি বলেন এটি একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। এতে মহিলাদের সম্মান আরও বাড়বে। গ্রামের মহিলারা জানিয়েছেন এই সাদা মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ কমাতে সাহায্য করবে।  

এই রায় দেওয়ার কিছুদিন পরেই পাটনা আদালতের প্রশাসনিক নির্দেশ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে বিচারপতিকে। এছাড়া অবশ্য আর কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে সূত্রের খবর এটাই প্রথম নয়। এর আগেই একাধিকবার বিচারপতি এজাতীয় ভিন্নিধর্মী রায় দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।