সংক্ষিপ্ত
- দুমকা ট্রেজারি মামলার শুনানির কথা ছিল ৯ নভেম্বর
- ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট পিছিয়ে দিয়েছে মামলার দিন
- পরবর্তী শুনানি হবে ২৭ নভেম্বর
- তার আগে জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা নেই লালুর
ফল প্রকাশের দিন বিহারের বিরোধী নেতা তেজস্বী যাদবের পাশে থাকতে পারবেন না তাঁর বাবা লালু প্রসাদ যাদব। দুমকা ট্রেজারি মামলার শুনানির দিন পিছিয়ে দিয়েছে ঝাড়খণ্ড আদালত। এই মামলায় বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব জামিনের আবেদন করছিলেন। প্রথমে ঠিক ছিল আগামী ৯ নভেম্বর অর্থাৎ বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের ফেল প্রকাশের আগের দিনই মামলার শুনানি হবে। কিন্তু শুক্রবার আদালতের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে মামলার শুনানির দিন। ৯ এর পরিবর্তে শুনানি হবে ২৭ নভেম্বর।
পশু খাদ্য কেলেঙ্কারিকাণ্ডে একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছিল লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে। এর আগে দেও ট্রেজারি ও চৌবাসা ট্রেজারি মামলায় আগেই জামিন পেয়েছিলেন তিনি। আর সেক্ষেত্র আশা করা হচ্ছে দুমকা ট্রেজারি মামলাতেও জামিন পাবেন তিনি। কিন্তু মামলার দিন পিছিয়ে দেওয়ার ভোটের ফল প্রকাশের আগের দিন তাঁর জামিন মেলার কোনও সম্ভাবনা রইল না।
কোভ্যাক্সিনের আগেই আসছে কোভিশিল্ড, মহামারির বিশ্বে সুখবর দিলেন আদার পুনেওয়ালা
সীমান্তে বড় অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে, চিন আর পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি বিপিন রাওয়াতের ...
গত ৪০ বছরে বিহারে এটাই ছিল প্রথম নির্বাচন যেখানে উপস্থিতি ছিলেন না লালু প্রসাদ যাদব। ভোট ময়দানে শারীরিকভাবে উপস্থিত না থাকলেও তিনি ছিলেন। বিহারের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার যাদব একাধিকবার লালুর নাম না করেই তাঁকে আক্রমণ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও তাঁর জমানাকে জঙ্গলরাজের সঙ্গে তুলনা করেছেন। উল্টে লালুপ্রসাদের পুত্র তেজস্বী যাদবও নীতিশ কুমারকে আক্রমণ করে তুলে এনেছেন তাঁর বাবার প্রসঙ্গ। সবমিলিয়ে বিহারের নির্বাচনে না থেকেও ছিলেন তিনি। কিন্তু ভোট প্রচারে গিয়ে একাধিকবার তেজস্বী বলেছিলেন, আগামী ১০ নভেম্বর তাঁর বাবা কারাগার থেকে ফিরে আসবেন আর তিনি নীতিশ কুমারকে বিদায় সংবর্ধনা জানাবেন। কিন্তু তিনি তাঁর কথা রাখতে পারলেন না।
১৯৭৭ সাল থেকেই বিহার রাজনীতিতে তাঁর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। রাজ্য রাজনীতির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় রাজনীতিতেই তিনি একটা সময় যথেষ্ট গুরুত্ব পেতেন। গত বিধানসভায় নীতিশ কুমারের সঙ্গে জোট বেঁধে ক্ষমতা দখল করেন। কিন্তু পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিকাণ্ডে তাঁর গ্রেফতার হওয়ার আগেই নীতিশ লালুর হাত ছেড়ে বিজেপির হাত ধরে আবারও এনডিএ জোটে সামিল হন। তারপর থেকেই জেডিইউই প্রথম ও প্রধান প্রতিপক্ষ আরজেডি। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবই বিরোধী মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী। এই ভোট উত্তাপ থেকে অনেক দূরে ঝাড়খণ্ডের রাজেন্দ্র মেডিক্যাল সায়েন্সে ইনস্টিটউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন লালুপ্রসাদ যাদব।