সংক্ষিপ্ত
মাত্র ২ হাজার টাকার বিনিময় গণধর্ষণের মামলা মিটমাট করার নিদান দিল গ্রামের মাতব্বররা। এই ঘটনা ঘটেছে বিহারে। যদিও মাতব্বরদের নিদানে সন্তুষ্ট হয়নি নির্যাতিতার মা। দ্বারস্থ হয়েছে বিহার পুলিশের। তারপরই গোটা বিষয়টি সামনে আসে। নাবালিকা গণধর্ষণে অভিযুক্ত চারজন যুবক। নির্যাতিতার মা প্রথমে বিচার চেয়ে বিহারের দ্বারভাঙা গ্রামের পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়। পঞ্চায়েত সালিসি সভা বসায়। সেখানেয়ই বিচার হয়। নির্যাতিতাকে মাত্র ২ হাজার টাকা দিয়ে অভিযুক্তদের মুক্ত হওয়ার নিদান দেয় গ্রাম পঞ্চায়েত। কিন্তু এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার। তারা পুলিশের দ্বারস্থ হয়। তারপরই গোটা ঘটনা সামনে আসে।
নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ রয়েছে বিহার পুলিশের বিরুদ্ধেও। কারণ নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, মেয়েকে নিয়ে তিনি পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন। সেখানে প্রথমে তাঁর মেয়েকেই আটক করে রাখে পুলিশ। গোটা ঘটনায় মদত ছিলেন গ্রামের মাতব্বরদের। তিন দিন ধরে মেয়েকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। তিন পরে নির্যাতিতা নাবালিকাককে ছেড়ে দেওয়া হয়। নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষাও করা হয়। কিন্তু সেখানেও গিয়েও সমস্যায় পড়তে হয় বলে অভিযোগ।
নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, হাসপাতালে গেলে প্রথম চিকিৎসক বসন্ত কুমার ঝাঁ গোটা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চান। যা নিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সমস্যাও তৈরি হয়। তারপরই পুলিশের তত্ত্বাবধানে নির্যাতিতার মেডিক্যাল টেস্ট হয়।
নির্যাতিতাকে চার জনে মিলে ধর্ষণ করে ৩ অগাস্ট। পরের দিনই পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয় নির্যাতিতার মা। কিন্তু সেখানে কোনও লাভ হয়নি। ৭ অগাস্ট অভিযোগ দায়ের করেন। ৯ অগাস্ট ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার চার দিন পরে নির্যাতিতার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয় ১২ অগাস্ট। স্থানীয় সূত্রের খবর অভিযুক্ত প্রভাবশালী হওয়ায় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পুলিশ সকলেই নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারকে হেনস্থা করেছে। যদিও পুলিশ বর্তমানে চার অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।