সংক্ষিপ্ত

উভয় দেশের সীমান্তে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যও অনেকাংশে বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যান্য দেশের ব্যবসায়ীরা এক্ষেত্রে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

মাসখানেক আগে গণঅভ্যুত্থানের সাক্ষী হয় বাংলাদেশ। কোটা বিরোধী আন্দোলনের বাড়বাড়ন্তে একটা সময় উৎখাত করা হয় বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এই সময় ভারত বিরোধী হাওয়া শুরু হয় সেদেশে। এবার নরেন্দ্র মোদীর দুর্দান্ত চালে মাথায় হাত বাংলাদেশের।

শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর বাংলাদেশে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। তবে, হাসিনা সরকারের অপসারণের পর বাংলাদেশে শুরু হয় বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা। আর এই কারণে ভারত সরকার ও ভারতীয় কোম্পানিগুলোর নির্মাণাধীন প্রায় সব উন্নয়নমূলক প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উভয় দেশের সীমান্তে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যও অনেকাংশে বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যান্য দেশের ব্যবসায়ীরা এক্ষেত্রে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এখন পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

ক্ষতির মুখে ভারত-বাংলাদেশ ডিজেল পাইপলাইনের কাজ

পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশের পার্বতীপুর পর্যন্ত বিছানো ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের কারণে ডিজেল এবং বিদ্যুতের সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে জয়সওয়াল বলেন, "হ্যাঁ, প্রতিটি প্রকল্পই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি সবাইকে প্রভাবিত করেছে।" উল্লেখ্য, ১৩৭.১ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনটি ভারতের আর্থিক সহায়তায় ইনস্টল করা হয়েছে, যা বছরে ১ মিলিয়ন টন ডিজেল বাংলাদেশে সরবরাহ করার ক্ষমতা রাখে। এর সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে উভয় দেশই এখন পেট্রোল সরবরাহের জন্য পাইপলাইন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেখানে ভারত থেকে বাংলাদেশে বছরে ২৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থাও রয়েছে। এমনকি এই বিদ্যুতের জন্য এক বিলিয়ন ডলারের পেমেন্টও এখনো পায়নি বাংলাদেশ থেকে।

বাংলাদেশের এই অস্থিরতা এবং তার প্রভাব যেভাবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে পড়ছে, তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন দেশের বিদেশ মন্ত্রক। এই মর্মে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জয়সওয়াল বলেছেন, "সেখানে আমাদের যে সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্প চলছিল, তার সবকটি স্থগিত করা হয়েছে। এইসব প্রকল্পে কর্মরত সব আধিকারিক ও শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করারছেন। পরিস্থিতি ঠিক হলে এবং সেখানের আইনশৃঙ্খলা আবার কার্যকর হলে আমরা পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে আরেকবার দেখব। আমরা সেখানকার সরকারের সঙ্গে কথা বলব।"

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।