সংক্ষিপ্ত
- এনসিপি উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালো অজিত পওয়ারকে
- রাজনৈতিক মহলে জল্পনা অজিতের সঙ্গে বিজেপির জোট আসলে শরদ পওয়ারের চাল
- তাকে উসকে দিলেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত
- কিন্তু এর পিছনে পওয়ারের কী উদ্দেশ্য থাকতে পারে
মঙ্গলবার থেকে মহারাষ্ট্রের মহানাটক যে পথে এগোচ্ছে, তাতে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে ভাইপো অজিত পওয়ার-কে কি কাকা শরদ পওয়ারই পাঠিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে? আর এই জল্পনা আরও উসকে দিয়েছেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। বুধবার, তিনি সাফ জানিয়েছেন শিবসেনা,-এনসিপি-কংগ্রেস জোট সরকারে বড় ভূমিকাই পাবেন অজিত পওয়ার। কারণ তিনি 'অনেক বড় কাজ' করে এসেছেন।
শুধু সঞ্জয় রাউতের কথাতেই নয়, মঙ্গলবার অজিত পওয়ার উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর থেকে ঘটনাক্রমের দিকে চোখ রাখলেও মনে হতে বাধ্য এটা শরদ পওয়ারের ক্ষুরধার মস্তিষ্কের চাল হতে পারে। রাতেই শরদ পওয়ারের সঙ্গে দেখা করেন অজিত। তারপর এদিন, এনসিপি-তে খুড়তুতো বোন সুপ্রিয়া সুলে থেকে শুরু করে অন্যান্য নেতারা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান অজিতকে। নবাব মালিক বলেছেন, কাকার কাছে ভাইপো তাঁর ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন। তাই অজিত ফের দলেও বড় ভূমিকা পেতে চলেছেন।
এখন প্রশ্ন হল অজিত পওয়ারকে গেরুয়া শিবিরে পাঠিয়ে তিনদিনের নাটক যদি শরদ পওয়ারের রাজনৈতিক চাল হয়, তবে এর পিছনে কী কী কারণ থাকতে পারে?
এক - এই কথা অনস্বীকার্য, এই এক চালে ত্রিদলীয় জোট সরকার গঠনের প্রক্রিয়া দ্রুততা পেয়েছে।
দুই - বিজেপি-কে আটকাতে হবে, এই মনোভাবে এককাট্টা হয়েছে সব বিধায়ক।
তিন - হতে পারে শিবসেনা ও কংগ্রেস তাদের কিছু একগুঁয়ে দাবি ছেড়ে দিয়েছে গত তিনদিনে। আর সেই কারণেই এতদিনে চূড়ান্ত রূপ পেয়েছে তাদের কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম।
চার - সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, বিজেপির সাংসদ ভাঙানোর খেলার পথ অন্তত এইবারের মতো বন্ধ করে দেওয়া। একইসঙ্গে সারা দেশে অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদী-সহ বিজেপির শীর্ষনেতাদের মুখ পুড়েছে তাও বলার অপেক্ষা রাখে না।
পাঁচ - অজিত পওয়ারও তাঁর বিরুদ্ধে চলা সেচ দুর্নীতির ২০ টি মামলা নামিয়ে এনেছেন ১১টিতে।
কাজেই ভেবে দেখলে অজিত পওয়ার কিন্তু তিনদিনের দলত্যাগী হয়ে (যদিও বরাবর তিনি বলে এসেছেন তিনি এনসিপিতেই ছিলেন, আছেন, থাকবেন) অনেক বড় বড় কাজ করে ফেলেছেন। এদিন তিনি শপথ-ও নেন এনসিপি বিধায়ক হিসেবেই।