সংক্ষিপ্ত
পঞ্জাবে কংগ্রেস সরকারের ‘অপদার্থতাকে’ নিশানা করে সুর সুর চড়িয়েছে পাঞ্জাব বিজেপি। বুধবারের ঘটনা নিয়ে বৃহঃষ্পতিবারই রাজ্যব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচিরও ডাক দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় বৃহঃষ্পতিবার পঞ্জাব বিজেপির রাজ্য সভাপতি অশ্বনী শর্মার নেতৃত্বে পদ্ম নেতাদের একটি প্রতিনিধিদল এদিন রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিতের সাথে দেখা করতে রাজভবনে দেখা করতে যান।
পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে(Prime Minister Narendra Modi) ঘিরে কৃষকদের বিক্ষোভ-পথ অবরোধকে(Farmers' protest-road blockade) কেন্দ্র করে গতকাল থেকেই উত্তাল দেশের রাজ্য-রাজনীতি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের(Ministry of Home Affairs) দাবি প্রধানমন্ত্রীর সফর সূচি সম্পর্কে আগেভাগেই পঞ্জাব সরকারকে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেনি পাঞ্জাব সরকার। যা নিয়ে কেন্দ্র পঞ্জাব সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে নতুন করে। এদিকে এই প্রসঙ্গে পঞ্জাবে কংগ্রেস সরকারের(Congress government) ‘অপদার্থতাকে’ নিশানা করে সুর সুর চড়িয়েছে পাঞ্জাব বিজেপি(Punjab BJP)। বুধবারের ঘটনা নিয়ে বৃহঃষ্পতিবারই রাজ্যব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচিরও ডাক দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় বৃহঃষ্পতিবার পঞ্জাব বিজেপির রাজ্য সভাপতি(state president of BJP) অশ্বনী শর্মার নেতৃত্বে পদ্ম নেতাদের একটি প্রতিনিধিদল এদিন রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিতের(Governor Banwarilal Purohit) সাথে দেখা করতে রাজভবনে দেখা করতে যান। ফিরোজপুর সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদীর নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ে তারা একগুচ্ছ অভিযোগ জানান বলে খবর। একই সঙ্গে এদিনই তারা পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবির পাশাপাশি রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনেরও দাবি তোলে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোরদার রাজনৈতিক তরজা।
এদিকে গতকাল থেকেই ক্রমাগত পঞ্জাব সরকারের উপর চাপ বাড়িয়ে চলেছে স্বারাষ্ট্র মন্ত্রক। গতকালই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক বরিষ্ঠ আধিকারিকের দাবি ছিল, বিক্ষোভ নিয়ে গোয়েন্দাদের তথ্য থাকা সত্ত্বেও, পঞ্জাব পুলিশ 'ব্লু বুক' মেনে চলেনি। এমনকী মোদীর সফরকালে কোনও অবরোধ তৈরি হলে কোনও জরুরি পথও তারা খোলা রাখেনি। নেওয়া হয়নি কোনও আগাম সতর্কতা। তাঁর দাবি ব্লু বুক অনুসারে, প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় পাঞ্জাবে যা ঘটল সেরকম প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য রাজ্য পুলিশকে সর্বদাই জরুরি রুট প্রস্তুত রাখতে হয়। কিন্তু এই ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। আর ঠিক সেই কারণেই ভাতিন্দা থেকে ফিরোজপুর যাওয়ার পথপথেই আটকে যায় মোদীর কনভয়। বাধ্য হয়েই সভা বাতিল করে দিল্লি ফিরে আসেন নরেন্দ্র মোদী। আর তারপর থেকেই চলছে দোষারোপের পালা।
আরও পড়ুন-বাঁধ ভাঙা সংক্রমণের মুখে বাংলা, করোনা ঠেকাতে শহরজুড়ে কড়াকড়ি কলকাতা পুলিশের
যদিও এই প্রসঙ্গে গতকালই নিজেদের দায় ঝেড়ে ফেলেছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি। তাঁর সাফ দাবি কৃষকদের গায়ে সব সময় হাত তোলা যায়না। যদিও এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার আগেই ঘটনা প্রসঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি তৈরি করে ফেলেছে চান্নি সরকার। বিচারপতি মেহতাব সিং গিল এবং প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, হোম অ্যাফেয়ার্স এবং বিচারপতি অনুরাগ ভার্মার সমন্বয়ে গঠিত কমিটি তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। “গতকাল প্রধানমন্ত্রীর ফিরোজপুর সফরের সময় যে ভুলগুলি হয়েছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করার জন্য, পাঞ্জাব সরকার একটি উচ্চ-পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে।” বিবৃতি জারি করে এই ভাষাতেই নতুন ঘোষণা করেছে পাঞ্জাব সরকার।