সংক্ষিপ্ত

মানিক সাহা আরও বলেন, "আদিবাসীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতির বিষয়ে আমরা উপজাতি কল্যাণ নিয়ে আলোচনা করেছি। বৈঠকে উপজাতি কল্যাণ নিয়ে আলোচনা হবে, ওটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।"

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বৃহস্পতিবার টিপ্রাল্যান্ড ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেন। তিনি এদিন জোর দিয়ে বলেছেন যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার কখনই 'টিপ্রাল্যান্ড' বা 'বৃহত্তর টিপরাল্যান্ড'-এর মতো দাবিকে সমর্থন করবে না। উল্লেখ্য এই অবস্থান স্পষ্ট করার বার্তার ঠিক একদিন আগেই টিপরা মোথা প্রধান প্রদ্যোৎ দেববর্মার সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এমনটাও মনে করা হচ্ছিল যে রাজ্যের বিজেপি সরকারকে হয়তো সমর্থন জানাতে পারে টিপরা মোথা। টিপরা মোথা, 'বৃহত্তর টিপ্রাল্যান্ড' দাবিতে একটি আঞ্চলিক দল হিসেবে , ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল এবং ৬০ সদস্যের ত্রিপুরা বিধানসভায় ১৩টি আসন জিতে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল।

এদিন মানিক সাহা আরও বলেন, "আদিবাসীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতির বিষয়ে আমরা উপজাতি কল্যাণ নিয়ে আলোচনা করেছি। বৈঠকে উপজাতি কল্যাণ নিয়ে আলোচনা হবে, ওটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।" কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সাথে বৈঠকের পরেই, টিপরা মোথা সুপ্রিমো দাবি করেন যে কেন্দ্রীয় সরকার সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদিবাসীদের সমস্যাগুলি দেখার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে একজন মধ্যবর্তী ব্যক্তি নিয়োগ করবে। মুখ্যমন্ত্রী পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে আদিবাসী কল্যাণ বিজেপি-আইপিএফটি সরকারের জন্য একটি অগ্রাধিকার সেক্টর হতে চলেছে।

মানিক সাহা বলেছিলেন যে বিজেপি-আইপিএফটি সরকার ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের জাতীয় সভাপতির বলে দেওয়া পথেই হাঁটবে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দলের সম্ভাবনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন যে বিজেপি কেবল ত্রিপুরায় নয়, পুরো উত্তর-পূর্বেও ভাল পারফরম্যান্স করবে। তিনি বলেন "উত্তরপূর্বে ২০১৯ সালের নির্বাচনে দলের সংখ্যা যা ছিল তার থেকে আমরা পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে বেশি আসন পাব"। প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে বিনয় ভূষণ দাসকে বিধানসভার প্রো-টেম স্পিকার হিসাবে বাছাই করা হয়েছে। অ্যাকাউন্টে ভোটের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী বলেন নতুন মন্ত্রীদের পোর্টফোলিও শীঘ্রই বন্টন করা হবে, মন্ত্রিসভায় কিছু নতুন মুখ আনা বিজেপি সরকারের একটি রুটিন কাজের মধ্যই পড়ছে। আগের মন্ত্রিসভার চার মন্ত্রী এবার বাদ পড়লেন।

ভোট-পরবর্তী সহিংসতার বিষয়ে, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কিছু রিপোর্ট আমার জ্ঞানে আসছে। একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী সমস্যা তৈরি করার চেষ্টা করছে। আমি ডিজিপিকে দৃঢ়ভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে বলেছি"।