সংক্ষিপ্ত
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা গেছে তেলঙ্গানার সূর্যপেট জেলার কোদাদ শহরে এক ১৫ বছর বয়সী কিশোরকে বেদম প্রহার করছেন তার মা।
গাঁজা হল একটি সাইকোঅ্যাকটিভ ড্রাগ। এটি সেবন করলে সরাসরি গিয়ে আঘাত করে সেবনকারীর মস্তিষ্কে। এর পরীক্ষামূলক পরিমিত ব্যবহার যেমন বিশ্বের অনেক দেশে ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে করা হয়ে থাকে, তেমনই বিশেষজ্ঞদের মতে, এটির অতিরিক্ত সেবনের ফলে সেবনকারীর স্থায়ী মানসিক ব্যাধি তৈরি হয়ে যেতে পারে। স্বাভাবিকভাবে, কোনও অভিভাবক নিজের সন্তানদের এরূপ ব্যাধির শিকার হতে দিতে চান না। সম্প্রতি তেলঙ্গানায় ধরা পড়ল এক গাঁজা সেবনকারী কিশোরের চিত্র, নিজের মায়ের হাতে ধরা পড়ে গিয়ে যার পরিণতি হল অত্যন্ত করুণ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা গেছে তেলঙ্গানার সূর্যপেট জেলার কোদাদ শহরের একটি ঘটনা। এখানেই এক ১৫ বছর বয়সী কিশোরকে বেদম প্রহার করছেন তার মা। শুধু প্রহার করাতেই শেষ নয়। নিজের ছেলেকে বৈদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধেও রেখেছেন তিনি। কিশোরকে গলা ফাটিয়ে জোরে জোরে কাঁদতে দেখা যাচ্ছে। প্রহারকারী মহিলা ছেলেটির হাতে প্রায় হাতাহাতি করছেন বলে দেখা যায়। এটাও মনে হতে থাকে যে, ওই মহিলাটি ছেলেটির মুখে কিছু একটা মাখিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন, যেটিতে তাঁর ছেলে বাধা থাকা অবস্থাতেই হাত দিয়ে ক্রমাগত প্রতিহত করে চলেছে।
এরপর হাতে থাকা গুঁড়োগুলি না মাখাতে পেরে ওই মহিলা সাহায্যের জন্য কাউকে ডাকেন। তাতে অন্য একজন স্থানীয় মহিলা এগিয়ে আসেন। ওই দ্বিতীয় মহিলা কিশোরের দুটি হাত শক্ত করে ধরেন, এরপর ছেলেটির মা ছেলেটির মুখে ওই মুঠো করে ধরে থাকা গুঁড়োগুলি লাগিয়ে দেন। গুঁড়োর কিছু অংশ রাস্তায় পড়ে গেলে দেখা যায় যে, সেগুলির রং লাল। অর্থাৎ, সেগুলিকে লঙ্কার গুঁড়ো বলেই মনে হয়। এই পরিস্থিতিতে ওই গাঁজা সেবনকারী কিশোর তারস্বরে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে, কিন্তু, দেখা যায় যে, তার মা কোনওভাবেই তার ওপরে দয়াপরবশ হন না।
নেটিজেনরা যখন ওই মহিলার এরূপ আচরণ দেখে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ, তখনই জানা যায় যে, ওই ছেলেটির গাঁজা সেবনের বদ অভ্যাস ছাড়ানোর জন্যই উপায়ান্তর না দেখে শেষমেশ এই রাস্তা বেছে নিয়েছেন নিরুপায় মা।
আরও পড়ুন-
চলন্ত বাইকে চালকের কোলের ওপর বসে জাপটে ধরে এ কী করছেন তরুণী! ছত্তিসগড়ের যুগলের ভিডিও দেখে তাজ্জব নেটিজেনরা
‘আপনার স্বামী বেঁচে আছেন, অথচ আপনি টিপ পরেননি?’ নারী দিবসে বিজেপি সাংসদের ধমক দেখে হতবাক নেট দুনিয়া