সংক্ষিপ্ত
পাকিস্তানের মন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোর মন্তব্যের প্রতিবাদ। মোদীকে কসাই বলেছিলেন তিনি। যার প্রতিবাদে এদিন গোটা দেশেই বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ব্যক্তিগত আক্রমণের অভিযোগে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল গোটা দেশেষ কাশ্মীর থেকে কন্যকুমারী- সর্বত্রই প্রতিবাদ করে বিজেপি সমর্থকরা। একাধিক জায়গায় জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বিলাওয়াল ভুট্টোর ছবি ও কুশপুতুল।
রাষ্ট্র সংঘে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মন্তব্যের পরই বিলাওয়াল ভোট্ট বলেন'ওসামা বিন লাদেন মারা গেছে কিন্তু এখনও বেঁচে আছে গুজরাটের কসাই। তিনি বর্তমানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী।' রাষ্ট্রসংঘে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর পাকিস্তানকে ভাল প্রতিবেশী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি জানিয়েছেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের এপিক সেন্টার- এটা গোটা বিশ্বই জানে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিলাওয়াল ভুট্টো এই মন্তব্য করেছিলেন।
কিন্তু এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজেপি। কিন্তু তারপরেও এদিন গোটা দেশ জুড়েই বিজেপি প্রতিবাদ জানায়। উত্তর প্রদেশের মথুরায় বিজেপি কর্মীরা বিলাওয়াল ভুট্টোর কুশপুতুল দাহ করে। প্রতিবাদের ছবি দেখা যায় লক্ষ্মৌতেও। এক বিজেপি নেতা জানিয়েছেন বিলাওয়াল ভুট্টো বিদেশ মন্ত্রী নন, তিনি বিদ্বেষ মন্ত্রী।
মোদীর রাজ্য গুজরাটে এই প্রতিবাদ অনেকটাই চড়া সুরে হয়। রাজকোট, ভাদোদরা, গান্ধীনদর,জুনাগড়-সহ একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা। সেখানে বিজেপি কর্মীরা রাজ্যপালের কাছে স্মারক লিপিও দেয়। বিজেপি নেতাদের দাবি পাকিস্তানের মন্ত্রীকে মোদীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
শনিবার সকাল থেকেই পুনে মুম্বইতে প্রতিবাদ দেখায় বিজেপির। বিলাওয়াল ভুট্টোর কুশপুতুল দায় করা হয়। বিজেপি কর্মীদের দাবি মোদীর বিরুদ্ধে এজাতীয় মন্তব্য গোটা দেশের কাছে অবমাননাকর। এই মন্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে বলেও দাবি করে বিজেপি কর্মীরা।
মোদী বিরোধী মন্তব্যের জেরে বিক্ষোভে উত্তাল হয় জম্মু ও কাশ্মীরও। বিজেপি কর্মীদের দাবি আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভুট্টোর নির্লজ্জ মন্তব্যের বিরুদ্ধে এই মিছিলটি বিজেপির দেশব্যাপী প্রতিবাদের অংশ। এই বিক্ষোভ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যা একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ।
জয়শঙ্কর এদিন বলেন, 'আজ গোটা বিশ্বই পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল হিসেবে দেখে।' তিনি আরও বলেন কোভিড মহামারি গোটা বিশ্বেই ছিল। এখন ধীরে ধীরে সবকিছু স্বাভাবিক হচ্ছে। এই অবস্থায় সক্রিয় হচ্ছে জঙ্গি সংগঠনগুলিও। কিন্তু সন্ত্রাসবাদী হিসেবে যারা কালোতালিকাভুক্ত - তারা যে পাকিস্তানের আশ্রয়ে রয়েছে তা প্রমাণ হয়েছে পাকিস্তানের কথায়। কারণ গত পাকিস্তান সম্প্রতি জানিয়েছিল যে গত ২৩ জুন লাহোরে মুম্বই হামলা মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সইদের বাড়ির সামনে একটি বিস্ফোরণ হয়েছে। পাকিস্তান দাবি করেছে সেটি ভারত করিয়েছে।
পাকিস্তানের এক সাংবাদিক জয়শঙ্করকে এদিন জিজ্ঞাসা করেছিলেন দক্ষিণ এশিয়া কবে দেখবে যে নতুন দিল্লি, কাবুল ও পাকিস্তান থেকে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানো বন্ধ হচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তরে জয়ঙ্কর কড়াভাবেই জানিয়েদেন তিনি ভুল মানুষকে সেই প্রশ্ন করেছেন, কারণ এই প্রশ্নের জবাব একমাত্র পাকিস্তানের মন্ত্রীরাই দিতে পারবেন। জয়শঙ্কর এদিন স্পষ্ট করেই জানিয়েদেন পাকিস্তান সরকারিভাবে সন্ত্রাসবাদে মদত দিচ্ছে।