সংক্ষিপ্ত

  • মহিলা কর্মীর সঙ্গে বিজেপি নেতার পরকীয়া
  • ভাইরাল হল দু' জনের আপত্তিকর অবস্থার ভিডিও
  • হিমাচল প্রদেশের কুলু জেলার ঘটনা
  • দু' জনকেই সাসপেন্ড করেছে দল
     

দলীয় অফিসের এক কর্মীর সঙ্গেই পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন বিজেপি যুব মোর্চার নেতা। দু' জনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও তৈরি হয়েছিল। ঘনিষ্ঠ অবস্থার সেই দৃশ্য মোবাইলে বন্দি  করে রেখেছিলেন দু' জনে। সেই ভিডিও নিজেদের মধ্যে শেয়ার করতে গিয়ে বাঁধল বিপত্তি। বিজেপি নেতার স্ত্রীর হাত ঘুরে সেই ভিডিও হয়ে যায় ভাইরাল। যার জেরে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ওই বিজেপি নেতা এবং দফতরের মহিলা কর্মীকে। 

ঘটনাটি ঘটেছে হিমাচলপ্রদেশের কুলুতে। সাড়ে বারো মিনিটের ওই ভিডিওটি কয়েকমাস আগে রেকর্ড করেছিলেন বিজেপি নেতা এবং তাঁর প্রেমিকা। সেই ভিডিও-ই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ইতিমধ্যেই পুলিশ জানিয়েছে, ওই ভিডিও কেউ শেয়ার করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

আরও পড়ুন- বিজেপি-তে ইমরান খান, রাম রহিম, মোদীর রাজ্যেই ভাইরাল পোস্ট, গ্রেফতার ১

আরও পড়ুন- বাথরুমে গিয়েই উধাও, ইডি অফিস থেকে পালালেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাগ্নে

জানা গিয়েছে, কুলুতে বিজেপি-র যুব মোর্চার অফিসের মহিলা কর্মীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন যুব মোর্চার নেতা। কিন্তু তা টের পাননি তাঁর স্ত্রী। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে কয়েকদিন আগে ওই মহিলা কর্মী হোয়াটসঅ্যাপে ওই আপত্তিকর ভিডিও তাঁর প্রেমিককে পাঠানোর সময়। সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, স্বামীর মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপে আসা সেই ভিডিও দেখে ফেলেন বিজেপি নেতার স্ত্রী। এর পরে যা হওয়ার তাই হয়েছে। স্বামীকে শাস্তি দিতে সেই ভিডিও-ই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন তাঁর স্ত্রী। মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়। ওই মহিলা কর্মীর সঙ্গে বিজেপি নেতার স্ত্রীর কথোপকথনের একটি অডিও টেপও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসতেই ওই বিজেপি নেতা এবং মহিলা কর্মীকে সাসপেন্ড করেছে দল। ভিডিও-য় যে মহিলা কর্মীকে দেখা যায়, তিনিই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাঁরা এখনও পর্যন্ত ওই ভিডিও শেয়ার করেছে, বা ভবিষ্যতে করবে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই ভিডিও শেয়ার না করার জন্যও পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে যদি দেখা যায় যে বিজেপি নেতার স্ত্রী নিজেই ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন, তাহলে তাঁকেও রেয়াত করা হবে না। কিন্তু ইতিমধ্যে যাঁরা ওই ভিডিও ফোন বা কম্পিউটার থেকে ডিলিট করে দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছে পুলিশ।