সংক্ষিপ্ত
- মহারাষ্ট্রের বিজেপির পরিষদীয় দলের নেতা হলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ
- তাঁর দাবি শরিক দল শিবসেনার সঙ্গে সব বিরোধ মিটিয়ে নেবেন
- মহারাষ্ট্রে মহাযুতি জোটই সরকার গঠন করবে
- বৃহস্পতিবার পরিষদীয় দলের বৈঠক করবে শিবসেনা
বুধবার মহারাষ্ট্রের সদ্য সমাপ্ত পরিষদীয় দলের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে বিজেপির পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। তারপরই বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী দাবি করলেন শরিক দল শিবসেনার সঙ্গে বিরোধ মিটিয়ে তিনিই সরকার গঠন করবেন। জানালেন শিবসেনা ও বিজেপি যে মহাযুতি জোট গঠন করেছিল তার পক্ষেই মহারাষ্ট্রবাসী ভোট দিয়েছে। কাজেই মহাযুতি জোটেরই সরকার হবে। তবে তিনি আদৌ মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন কিনা তা অনেকটাই নির্ভর করে আছে বৃহস্পতিবারের উপর।
মঙ্গলবারই মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করা নিয়ে আলোচনায় বসার কথা ছিল দুই শরিক দলের। কিন্তু, তার আগেই শিহবসেনার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার নিয়ে ৫০-৫০ ফর্মুলার কতা একেবারে নস্যাত করে দেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। সেই অবস্থায় তারা ওই বৈঠক বাতিল করে দেয়। বুধবার জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার সকালে শিবসেনার বিজয়ী বিধায়করা নিজেদের মধ্য়ে বৈঠকে সবেন। সেখানেই মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবে শিবসেনা।
শিবসেনা সমর্থন না দিলে বিজেপির পক্ষে প্রয়োজনীয় ১৪৫ বিধায়কের সমর্থন জোগানো মুশকিল হবে। বিজেপির হাতে রয়েছে তাদের জেতা ১০৫ জন বিধায়ক। এছাড়া আরও ১৩ জন নির্দল বিধায়কের সমর্থন জোগার করতে পেরেছে তারা। কয়েকটি স্থানীয় দলের বিধায়করাও বিজেপি-কে সমর্থন করার কথা বলেছে।
অন্যদিকে শিবসেনার হাতে রয়েছে ৫৬ জন বিধায়ক। গত ২৪ অক্টোবর ফল বের হওযার পর থেকেই শিবসেনার পক্ষ থেকে ৫০-৫০ ফর্মুলায় ক্ষমতা ভাগের কথা বলা হচ্ছে। অর্থাৎ আড়াই বছর করে বিজেপি ও শিবসেনা দুই দল থেকে মুখ্যমন্ত্রী হবে। কিন্তু মঙ্গলবার ফড়নবিশ সরাসরি জানিয়ে দেন শিবসেনাকে এইরকম কোনও আগাম প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। ফলে ফড়নবিশের দ্বিতীয়বার মহারাষ্ট্রের তখতে বসা-না বসা, অনেকটাই নির্ভর করছে বৃহস্পতিবার শিবসেনা কি সিদ্ধান্ত নেয় তার উপর।